জেড নিউজ ডেস্ক ।
সাতচল্লিশের দেশ ভাগ কিংবা একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ, জাতপাতের ভেদাভেদ দেখে হয়নি। সবই ছিলো ভৌগলিক অবস্থান আর বৈষম্য-নিপীড়নের বিরুদ্ধে গণমানুষের আকাঙ্খার প্রতি শাসক শ্রেণির পরাজয়।তবে দুর্ভাগ্যের বিষয়, স্বাধীনতার পর দেশে সংখ্যালঘু ট্যাগ প্রতিষ্ঠিত করে হিন্দু ও মুসলমানকে আলাদা করে আওয়ামী লীগ। সেইসঙ্গে জাতিভেদের তকমা দিয়ে পাহাড়িদেরও আলাদা করা হয় সমতলের মানুষ থেকে।বিশ্লেষকরা বলছেন, ভোটের মাঠে আলাদা সুবিধা পেতে এমন বিভেদের এমন জঘন্য ফাঁদ পাতে আওয়ামী লীগ। প্রতিটি নির্বাচনেই এই সংখ্যালঘু কার্ড ব্যবহার করে তারা ঘায়েল করে প্রতিপক্ষকে।
তবে দিন বদলেছে, এখন সংখ্যালঘু হিসেবে যাদের বলা হতো তারাই বলছেন, তারা বাংলাদেশি। সবার আগে দেশ তারপর ধর্ম কিংবা ভাষা।এদিকে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের এক জরিপ বলছে, আওয়ামী আমলের চেয়ে অন্তবর্তী সরকারের সময়েই ভালো আছেন সংখ্যালঘুরা।
ওই জরিপে দেখা যায় ৬৪ দশমিক ১ শতাংশ মানুষই মনে করেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময়ের চেয়ে ধর্মীয় এবং জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে বেশি নিরাপত্তা দিচ্ছে ইউনূস সরকার।