Friday, September 19, 2025
More
    Homeঅর্থনীতিবিনিয়োগ করবেন কোথায় ,সঞ্চয়পত্র বা এফডিআর

    বিনিয়োগ করবেন কোথায় ,সঞ্চয়পত্র বা এফডিআর

    হাতে কিছু টাকা জমে গেলে অনেকের মনে প্রথমেই আসে—‘এ টাকা কোথায় রাখব? কীভাবে বিনিয়োগ করব?’ কেউ কেউ মনে করেন, নিরাপদ উপায় হলো সঞ্চয়পত্র কেনা। আবার অনেকের ধারণা, ব্যাংকে এফডিআর করলে টাকা সহজে ভাঙানো যায়, প্রয়োজনে ঋণও নেওয়া যায়। তাই কোন পথে গেলে লাভ বেশি, ঝুঁকি কম—তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থেকেই যায়।

    সঞ্চয়পত্র আর এফডিআর—দুই ব্যবস্থারই রয়েছে সুবিধা ও সীমাবদ্ধতা। সঞ্চয়পত্রে সরকারি গ্যারান্টি থাকায় ঝুঁকি নেই, আবার সুদের হারও তুলনামূলক বেশি।

    অন্যদিকে এফডিআরে সহজে টাকা তোলার সুযোগ আছে, মাসিক বা ত্রৈমাসিক আয়ের সুবিধাও পাওয়া যায়। তবে সুদের হার সঞ্চয়পত্রের চেয়ে কম। বিশ্লেষকেরা তাই পরামর্শ দেন—পুরো টাকা এক জায়গায় না রেখে ভাগ করে বিনিয়োগ করলে ঝুঁকি কমবে, পাশাপাশি নিশ্চিত আয়ও মিলবে।

    সঞ্চয়পত্র

    মধ্যবিত্তের জন্য সঞ্চয়পত্র বেশি জনপ্রিয়। কারণ, সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগে ঝামেলা নেই। এত ব্যাংক কেলেঙ্কারির মধ্যেও সঞ্চয়পত্র একটি আস্থার আর্থিক পণ্য হিসেবে সমাজে স্বীকৃত।

    সুবিধা কী কী

    ১. সঞ্চয়পত্রে সরকারি গ্যারান্টি থাকে। তাই টাকা হারানোর ঝুঁকি নেই বললেই চলে।

    ২. এফডিআর থেকে তুলনামূলকভাবে সুদের হার বেশি। বর্তমানে সঞ্চয়পত্রে গড়ে সুদের হার ১২ শতাংশের আশপাশেই আছে।

    ৩. দীর্ঘ মেয়াদে নিশ্চিত রিটার্ন পাওয়া যায় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে।

    ৪. সাধারণত কর মওকুফ বা কর রেয়াত সুবিধা পাওয়া। যা আপনার বছর শেষে করের পরিমাণ কমিয়ে দেবে।

    ৫. বিপদে পড়লে সঞ্চয়পত্র ভেঙে কাজে লাগানো যায়। অনেকে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেও সঞ্চয়পত্র কেনেন।

    অসুবিধা কী কী

    ১. নির্দিষ্ট সীমার বেশি কেনা যায় না। যেমন—পরিবার সঞ্চয়পত্র ৪৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। আবার পেনশনার সঞ্চয়পত্র ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত কিনতে পারবেন।

    ২. মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগে ভাঙালে মুনাফার পরিমাণ কমে যায়।

    ৩. মুনাফার টাকার উৎসে কর কেটে নেওয়া হয়।

    ৪. তাৎক্ষণিকভাবে নগদায়ন করার সুবিধা সীমিত।

    এফডিআর

    এটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রাখতে হয়। আপনার টাকা একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রেখে মুনাফা নেওয়া যায়। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এফডিআর করা যায়।

    সুবিধা কী কী

    ১. ব্যাংকভেদে এফডিআরের মেয়াদ বেছে নেওয়ার সুযোগ আছে। সাধারণত ৩ মাস থেকে ৫ বছর পর্যন্ত এফডিআর করা হয়।

    ২. এফডিআরের বিপরীতে ইচ্ছা করলে ঋণ নেওয়ার সুবিধা পাওয়া যায়। এ ক্ষেত্রে যত টাকার এফডিআর করা হয়, সাধারণত এর ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যায়।

    ৩. কিছু ব্যাংক মাসিক বা তিন মাস ভিত্তিতে সুদ প্রদান করে। যা নিয়মিত আয়ের উৎস হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

    ৪. টাকা প্রয়োজন হলে তুলনামূলকভাবে সহজে এফডিআর ভাঙানো যায়।

    অসুবিধা কী কী

    ১. সাধারণত সুদের হার সঞ্চয়পত্রের চেয়ে কম। সুদের হার ৬ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে থাকে। কিছু ব্যাংক এর বেশি হারের সুদ দেয়।

    ২. ব্যাংকের স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে এফডিআরের ভবিষ্যৎ।

    ৩. সময়ের আগে ভাঙালে সুদ কমে যায়।

    সর্বশেষ

    সংসদ নির্বাচনের ৭০ শতাংশ উপকরণ কেনা শেষ

    এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি পুরোদমে এগুচ্ছে উল্লেখ করে...

    বাউফল সরকারি কলেজে যানবাহন রাখার গ্যারেজের দাবিতে শিক্ষার্থীদের লি‌খ...

    প্রতি‌নি‌ধি: পটুয়াখালীর বাউফলে সরকারি কলেজে দীর্ঘদিন ধরে সাইকেল ও মোটরসাইকেল...

    সংসদ নির্বাচন: চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৮ নভেম্বর

    ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১৮ নভেম্বর...

    চট্টগ্রামে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে অপপ্রচার

    বাংলাদেশের চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমান বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর...

    আরও সংবাদ

    সংসদ নির্বাচনের ৭০ শতাংশ উপকরণ কেনা শেষ

    এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি পুরোদমে এগুচ্ছে উল্লেখ করে...

    বাউফল সরকারি কলেজে যানবাহন রাখার গ্যারেজের দাবিতে শিক্ষার্থীদের লি‌খ...

    প্রতি‌নি‌ধি: পটুয়াখালীর বাউফলে সরকারি কলেজে দীর্ঘদিন ধরে সাইকেল ও মোটরসাইকেল...

    সংসদ নির্বাচন: চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ১৮ নভেম্বর

    ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১৮ নভেম্বর...