নেপালের জেন-জি প্রজন্ম দুর্নীতি ও বেকারত্বের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে যে অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, তার প্রতিধ্বনি ইতোমধ্যেই ভারতের আকাশে শোনা যাচ্ছে। যার বার্তা দিতে শুরু করেছে খোদ ভারতীয় গণমাধ্যগুলো ।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক সামনা স্পষ্ট করে বলেছে, ভারতও একই সঙ্কটে জর্জরিত। ভারতে কর্মসংস্থান ধ্বংস হয়ে গেছে । ৮০ কোটি মানুষ সরকার প্রদত্ত বিনামূল্যের রেশনের উপর বেঁচে আছে। অথচ মোদি-শাহ জুটি গণতন্ত্র ধ্বংস করে নির্বাচনী কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতা আঁকড়ে বসে আছে।
ভারতের তরুণ প্রজন্মের ক্ষোভ দিন দিন বাড়ছে। নেপালে যেমন সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে ক্ষোভ থামানো যায়নি, ভারতে তেমন যেকোনো মুহূর্তে জেন-জি প্রজন্ম রাস্তায় নামতে পারে। সামনা পত্রিকায় প্রকাশিত ওই সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়, গণতন্ত্র ভেঙে পড়ছে, জাতি-ধর্মের রাজনীতি চরমে পৌঁছেছে এটাই ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ। তাই নেপালের অস্থিরতা থেকে ভারতের শিক্ষা নেওয়া উচিত ।
বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো দেশগুলো দুর্নীতি ও ব্যর্থতার কারণে সরকার হারিয়েছে। নেপাল সেই ধারাবাহিকতার নতুন উদাহরণ। ভারতও যদি একই পথে হাঁটে, তবে আর কোনো শক্তি মোদিকে রক্ষা করতে পারবে না। জনগণের আত্মসম্মান জেগে উঠলে বন্দুক-টিয়ারগ্যাস কিছুই কাজে আসবে না।
ভারতের তরুণ প্রজন্ম আজ বেকারত্ব, ক্ষুধা, বৈষম্য আর ভুয়া হিন্দুত্ববাদী প্রচারের ফাঁদে বন্দি। এই আগুন চাপা রাখলেও তা যে কোনো সময় দাবানলে রূপ নেবে। নেপালের পতন শুধু একটি প্রতিবেশী দেশের ঘটনা নয়, বরং ভারতের জন্য এক অশনি সংকেত।
জেড নিউজ, ঢাকা ।