থাইল্যান্ডের অর্থনীতিতে কৃষি, নির্মাণ, ট্যুরিজম আর শিল্প—সব খাতেই দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক ঘাটতি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে। স্থানীয় তরুণদের বড় অংশ শহরমুখী বা উচ্চশিক্ষায় ঝুঁকছে বলে মাঠে ও কারখানায় হাতে-কলমে কাজের লোক পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই দেশটির সরকারি ও বেসরকারি খাত— দুপক্ষই শ্রমিক খুঁজছে প্রতিবেশী ও দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোতে।
এ অবস্থায় শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় বিদেশি শ্রমিক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে থাই সরকার। এর অংশ হিসেবে শ্রীলঙ্কা থেকে প্রথম ধাপে ১০ হাজার শ্রমিক নেয়ার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইন থেকেও শ্রমিক নেয়ার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এতে নতুন করে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের শ্রমবাজারে।
থাইল্যান্ডের কৃষি, নির্মাণ ও মৎস্যশিল্প দীর্ঘদিন ধরে বিদেশি শ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিবেশী মিয়ানমার, কম্বোডিয়া ও লাওস থেকে আসা শ্রমিকেরাই এ খাতের মূল শক্তি।
কিন্তু গত ২৪ জুলাই থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে সংঘর্ষের পর বিপুলসংখ্যক শ্রমিক নিজ দেশে ফিরে যান। এতে শিল্প খাতে বড় শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এ কারনে শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ থেকেও শ্রমিক নেওয়ার পরিকল্পনা করছে থাইল্যান্ড ।
তুলনামূলক ভালো মজুরি ও কর্মপরিবেশ থাকলেও থাইল্যান্ড এতদিন এখনো বাংলাদেশের শ্রমবাজারে বড় গন্তব্য হয়ে ওঠেনি। তবে বর্তমান সংকট বাংলাদেশের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
জেড নিউজ , ঢাকা ।