৪ আগস্ট বা ৩৫ জুলাই ২০২৪। ইতিহাসের বাঁক বদলের দিন। একদিন এগিয়ে এদিন লংমার্চ টু ঢাকা কর্মসূচীর ডাক দেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আর এটিই খুনি হাসিনার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয়।
মারনাস্ত্র ব্যবহার করেও যখন আন্দোলন দমাতে ব্যর্থ তখন গণভবনে ২৪ টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ২৩ কলেজ প্রধানদের ডেকে আনেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা। সেখানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে জঙ্গি হামলা আখ্যা দিয়ে তা থেকে নিবৃত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু যাদের রক্তে রাজপথ ভিজেছে, যেই বাতাসে ছড়িয়েছে মায়ের আহাজারি, স্বজনের আর্তনাদ সেই রাজপথে তো দ্রোহের বারুদ জ্বলবেই। তাইতো মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচীর প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় সারাদেশে। এদিন সারাদেশে পুলিশসহ শতাধিক প্রাণহানি ঘটে।
সংশ্লিষ্টদের ধারণা, আন্দোলন দমাতে দেশীয় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলো ব্যর্থ হওয়ার পর হাসিনার পরিকল্পনা ছিলো ভারতীয় বাহিনী দিয়ে মসনদ রক্ষা। কিন্তু গণভবন ঘেরাও কর্মসূচী একদিন এগিয়ে আনায় সেই সময়টুকু পায়নি আওয়ামী লীগ সরকার। উপরন্তু এই দিনই শেখ পরিবারের সদস্যদের দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। যদিও সারাদেশের আর কোনো আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী কিংবা কোনো এমপি-মন্ত্রী, পুলিশ কর্মকর্তাদের এই বিষয়টি জানানো হয়নি।
৩৫ জুলাই হাসিনার প্রতিরোধ ব্যবস্থা অনেকটাই ভেঙে পড়ে। ফুরিয়ে আসে রসদ। প্রাণহানি বাড়লেও সেটি ছিলো রক্ত পিপাসু আওয়ামী হায়েনাদের মরণ কামড়। কিন্তু সেই মরণ কামড়কে উপেক্ষা করেই সারদিন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলে সারাদেশে। কারফিউ বলবৎ থাকলেও সেটি তেমন কার্যকরী ছিলো না।
জেড নিউজ, ঢাকা।