পহেলা জুলাই তিন দিনের কর্মসূচীর ডাক দেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর ধারাবাহিকতায় ২ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মিছিল-সমাবেশ চলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হল থেকে শিক্ষার্থীরা এসে তাতে যোগ দেন। এদিন ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে প্রথম শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
পরিস্থিতি তখনো ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। যদিও জমায়েত থেকে শিক্ষার্থীরা ঘোষণা দেন, সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার না হওয়া পর্ন্ত ঘরে তারা ঘরে ফিরে যাবে না। এদিন প্রায় ঘন্টা খানেক শাহবাগে অবস্থানে পর ফের ক্যাম্পাসে ফিরে যায় শিক্ষার্থীরা।
পরে বেলা পৌনে তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে মিছিল শুরু করে নীলক্ষেত, সায়েন্স ল্যাব ও বাটা সিগন্যাল মোড় ঘুরে শাহবাগে গিয়ে জমায়েত হন। সে সময় মিছিলে আন্দোলনকারীরা ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘আঠারোর পরিপত্র-পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটা প্রথা নিপাত যাক- মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘ছাত্রসমাজ গড়বে দেশ, মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
পরে আবারো শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে আন্দোলনকারীরা মূল সড়ক ছেড়ে দেন। ফলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সেই দিন বিক্ষোভ মিছিলে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এটা শুধু শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীদের আন্দোলন নয়। এটা একটা রাষ্ট্রের বিষয়। মুক্তিযোদ্ধা কোটা আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এক জিনিস নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কোনো বংশগত পরম্পরার বিষয় নয়, এটা একটা রাষ্ট্রীয় আদর্শ। এই আদর্শকে আমরা তরুণেরা ধারণ করি। সে জন্যই আমরা বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছি।’
জেড নিউজ, ঢাকা।