২৭ জুলাই ২০২৪। দিনটি ছিলো শনিবার। সারাদেশে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। ছাত্রদের বাইরেও রাজনৈতিক কর্মী কিংবা সাধারণ মানুষকে গণহারে গ্রেফতার করে পুলিশ। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ-বিজিবি ও র্যাবের কঠোরতা চরমে পৌঁছে। মাঠে সেনাবাহিনী। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় দেশ। তার মধ্যেও থেমে থাকেনি আন্দোলন। প্রতিরোধ আর প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে উঠে চারিপাশ।
এদিন আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামসহ আটক তিনজনকে নিয়ে শুরু হয় নতুন নাটক। পাশাপাশি সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহকেও সেদিন আটক করা হয়। হাসিনার পুলিশ নিরাপত্তার কথা বলে তাদের ডিবি অফিসে নিয়ে আন্দোলন বন্ধ করতে চাপ প্রয়োগ করে।
আন্দোলনকে ঘিরে বিক্ষোভ, সংঘাত, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রাখা হয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ভাগ করে চলে ব্লক রেইড। এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানীসহ সারা দেশে ২৯০ জনকে গ্রেফতার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সিনিয়র সহকারী পরিচালক আ ন ম ইমরান খান জানান, সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হামলা, নাশকতা ও অগ্নিসংযোগে গ্রেফতার ব্যক্তিরা সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন বিরোধী রাজনৈতিক দল, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও রাষ্ট্রবিরোধী চক্রের নির্দেশনায় তারা এ হামলা ও নাশকতায় অংশ নেয়। এদিন সহিংসতার অভিযোগে সিলেটে ১১ মামলা ও ১৪৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। চট্টগ্রামে ১৪ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল করা হয়।
সমন্বয়কদের আটকের খবর ছড়িয়ে আন্দোলন স্তিমিতের চেষ্টা চালায় হাসিনা সরকার। কিন্তু তখন আন্দোলনের স্টিয়ারিং আর সম্বয়কদের হাতে ছিলো না। বিএনপি, জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা সক্রিয় থেকে আন্দোলনকে আরো জোরদার করেন।
জেড নিউজ, ঢাকা।