কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চিরুনি অভিযান চালায়। সারাদেশ থেকে প্রায় হাজার দেড়েক শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করা হয়। তবে তার মধ্যেও থেমে থাকেনি আন্দোলন। দেশের বিভিন্নস্থানে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ-সঙ্ঘাতে জড়ায় শিক্ষার্থীরা। এদিন কারফিউ কিছুটা শিথিল করা হয়।
এদিন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, আবু বাকের মজুমদার ও রিফাত রশীদের খোঁজ পাওয়া যায়। নিখোঁজ হওয়ার পাঁচ দিন পর আসিফ ও বাকেরকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে যাওয়া হয় বলে দুজনই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানান।ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষে আহত হয়ে এদিন চিকিৎসাধীন আরও চারজনের মৃত্যু হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনজন ও সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও পরবর্তী সংঘাতে ২৪ জুলাই পর্যন্ত ২০১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। এ মৃত্যুর হিসাব হাসপাতাল, হাসাপাতালে মরদেহ নিয়ে আসা ব্যক্তি ও স্বজনদের সূত্রে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
কারফিউ শিথিল হওয়ায় এদিন রাজধানী থেকে দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়। সচল হয় নদীবন্দরগুলো। অফিস-আদালত ও কলকারখানায় ফিরে আসে কর্মচাঞ্চল্য।
এদিন আন্দোলনকারীদের হুশিয়ারি দিয়ে পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। আর হাসিনার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জনমনে স্বস্তি না ফেরা পর্যন্ত কারফিউ চলবে, বলে ঘোষণা দেন।
এদিকে, গণভবনে এদিন শেখ হাসিনা তার পদলেহী সাংবাদিকদের নিয়ে মত বিনিময় সভা করেন। সভায় অন্তত ৩৭ তেলবাজ সাংবাদিক শেখ হাসিনাকে নানাভাবে উস্কে দেন। কেউ ড. ইউনূসকে গ্রেফতারের কথা বলেন, কেউ বা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে তাদের কঠোর হাতে দমনের পরামর্শ দেন। তাদের এসব কু পরামর্শে আরো ভয়ংকর দানবে পরিণত হয়ে উঠেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা।
জেড নিউজ, ঢাক।