আগের দিন বৃহস্পতিবার মধ্য রাত থেকে জারি করা হয়েছে কারফিউ। ২০ জুলাই-শনিবার, সকাল থেকেই তা জোরদার করা হয়। দুপুর ১২টা পর্যন্ত কারফিউ। সারাদেশে সেনা টহল চলছে। মাঝে দুই ঘণ্টার বিরতি দিয়ে বেলা ২টা থেকে আবার কারফিউ শুরু হয়। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় ২১ জুলাই রোববার বেলা তিনটা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।
২১ ও ২২ জুলাই সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। সেই সঙ্গে ২১ জুলাই সারাদেশে পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় মালিক সংগঠনগুলো।
ইন্টারনেট শাটডাউন চলছে। সারাদেশে বন্ধ যানবাহন চলাচলও। এই অবস্থায় ঘরে-বাইরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এদিন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে অন্তত ৩৭ জন নিহত হন। এর মধ্যে ঢাকায় দুই পুলিশসহ ২৫ জন নিহত হন। এ ছাড়া ময়মনসিংহ ও সাভারে ৪ জন করে, গাজীপুরে ২ জন এবং নরসিংদীতে ২ জন নিহত হন।
শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর খিলগাঁও থেকে তুলে নেওয়া হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বিএনপি-জামায়াত এবং তাদের সমর্থক সন্ত্রাসীরা জ্বালাও- পোড়াওসহ সহিংসতা চালাচ্ছে।’বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার দমন-পীড়ন চালিয়ে নিজেদের রক্ষা করতে পারবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোটা আন্দোলনে ভর করে বিএনপি জামায়াত দেশের মানুষকে জিম্মি করার চেষ্টা করছে।
২০ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাব, উত্তরা, মেরুল বাড্ডা ও মিরপুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোকারীদের ছত্রভঙ্গ করে। একই অবস্থা চলে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে। এদিন হতাহতের সংখ্যা আরো বেড়ে যায়।
জেড নিউজ, ঢাকা।