গত ৫ মে থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত বিজিবি সদর দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী প্রায় ২ হাজার মানুষকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীবাহিনী-বিএসএফ। পুশইন করা নাগরিকদের মধ্যে ভারতীয় এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গাও রয়েছে।
এসব বিষয়ে লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, সিলেট, খাগড়াছড়ি, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারীতে বিজিবির সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নগুলো বিএসএফের পুশইনের শিকার ভারতীয় নাগরিকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তাদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে। এছাড়া, ভারতে তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে তাদের যোগাযোগ করিয়ে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে বিজিবি সদর দপ্তরের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা ১২০ জন ভারতীয় নাগরিককে ফেরত পাঠানোর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গ্রামবাসী এবং বিজিবির সহায়তায় ওই ১২০ জন ভারতীয় নাগরিক তাদের নিজ দেশে ফিরে গেছেন।
পুশইনের শিকার এই ১২০ জনের নামের তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, তারা সবাই ইসলাম ধর্মাবলম্বী। অন্য কোনো ধর্মের বা উপজাতি বা আদিবাসীদের কেউই পুশইনের শিকার হননি।
এ ব্যাপারে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, ভারতীয় বাহিনীর দ্বারা পুশইন নিয়মিত ঘটছে, যার মধ্যে ভারতীয় নাগরিক এবং রোহিঙ্গারাও রয়েছে- যা মানবাধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন। মাঝে মাঝে এটি কয়েক দিনের জন্য থেমে থাকে, কিন্তু প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এ ব্যাপারে আমরা বিএসএফের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিজিবির পক্ষ থেকে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কেও জানানো হয়েছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।