যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়ার পর যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের মৃত্যুতে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) উদ্বেগ জানিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ ও বিচার দাবি করেন সংগঠনটির সিনিয়র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবি ইউনিয়নের যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামকে (৪৫) যৌথ বাহিনীর পরিচয়ে গভীর রাতে বাড়ি থেকে তুলে নেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সাদা পোশাকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর গোমতীপারের গোমতী বিলাশ এলাকা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার ও স্বজনদের বরাতে জানা যায়, তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনও অস্ত্র থাকার অভিযোগ ছিল না এবং তাকে অজ্ঞাত কারণে গভীর রাতে বাসা থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা থানায় যোগাযোগ করেও কোনও খোঁজ পাননি। পরবর্তী সময়ে পুলিশ থেকে তাদের জানানো হয়, তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এবং সেখানে তিনি মারা যান। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকায় পরিবারের সদস্যরা এই মৃত্যুকে পরিকল্পিত ও সন্দেহজনক বলে দাবি করেছেন।
আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) মনে করে, এ ধরনের ঘটনা মানবাধিকার ও আইনের শাসনের পরিপন্থি। রাষ্ট্র আটককৃত ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এ ধরনের মৃত্যুর ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। আসক এ ঘটনার স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও দ্রুত বিচারিক তদন্ত এবং দায়ীদের যথাযথ আইনানুগ শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে। একইসঙ্গে নিহতের পরিবারকে ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ দিতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) সব ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনায় সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ ও জবাবদিহি নিশ্চিতেরও দাবি জানিয়েছে।