পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন কায়দায় অর্থ পাচার হতো। আর এ অপকর্মটি করা হতো রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে। এ কারণে কাঙ্খিত হারে রেমিট্যান্স আসত না। উল্টো প্রতি মাসেই দেশের রিজার্ভ থেকে এক বিলিয়ন ডলার কমে যেত।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারের বিদায় নেয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় হুন্ডির প্রবণতা। কমে যায় অর্থ পাচার। আর এরই সুবাদে সুবাতাস বইছে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যানে, মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ২৯৭ কোটি মার্কিন ডলার বা প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩২ শতাংশ বেশি। এ রেমিট্যান্স একক মাস হিসেবে যা এ যাবৎকালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এ সুবাদে রেকর্ড বৈদেশিক মুদ্রার দায় পরিশোধের পরেও মোট বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বেড়ে হয়েছে প্রায় ২৬ বিলিয়ন ডলার।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডির হিসাবে, গত দেড় দশকে দেশ থেকে পাচার হয়েছে ২৮ লাখ কোটি টাকা, যার বড় অংশই পাচার হয়েছে আমদানি-রফতানির আড়ালে। আগে প্রবাসীদের রেমিট্যান্সের একটি বড় অংশই হুন্ডির মাধ্যমে পাচার হয়ে যেত। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশীদের আয়ের একটি অংশ পাচারকারীরা সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে কিনে নিত। কিন্তু ওই অর্থ আর দেশে পাঠানো হতো না। বিপরীতে দেশে থাকা প্রবাসীদের অত্মীয়স্বজনকে সমপরিমাণ দেশীয় মুদ্রা পরিশোধ করা হতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, দেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পরপরই বেড়ে যায় রেমিট্যান্সের গতিপ্রবাহ। এর ফলে দেশের ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় বেড়ে গেছে।
জেড নিউজ , ঢাকা ।