দলের নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফের একই খেলায় মেতেছেন। দলীয় কার্যালয় উদ্ধারের জন্য তিনি নেতাকর্মীদের সংঘবদ্ধ হয়ে মাঠে নামতে নির্দেশ দিচ্ছেন। এমনকি উসকানি দিয়ে বলেছেন, মাঠে নামার সময় এক গ্রুপ সামনে, আরেক গ্রুপ পেছনে থাকবা। সামনের গ্রুপ আক্রান্ত হলে পেছনের গ্রুপকে হামলা চালাতে হবে। কেউ হামলা করতে এলে তাদের চরম শিক্ষা দেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।
সম্প্রতি ফাসঁ হওয়া হাসিনার একটি ফোনালাপে এমনই বার্তা শোনা যায় ।দিল্লিতে বসেই টেলিফোনে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং ভোলা-৩ আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য বিদেশে পলাতক নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
এদিকে হাসিনার এরকম নির্দেশনা নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিরক্ত এবং সংক্ষুব্ধ।তারা বলেন , ৫ আগস্টের পর দলের অনেক নেতাকর্মী শেখ হাসিনার ওপর চরম ক্ষুব্ধ। কারন দেশের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে বিপদের মধ্যে রেখে তিনি পালিয়ে গেছেন । অথচ তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা সবাই ভালোই আছেন। তাকে যারা ১৫ বছরে বিপথগামী করেছেন, দুহাতে লুটপাট ও দুর্নীতি করেছেন; তাদের অনেকে তার মতো বিদেশে পালিয়ে গেছেন। অথচ খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ নেতাকর্মীদের। ফলে তার মতো পলাতক নেত্রীর কথায় কেউ আর মাঠে নামবে না। বরং ভবিষ্যতে আওয়ামী লীগ করব কি না এবং করলে কীভাবে, কাদের নেতৃত্বে কোন আাওয়ামী লীগ আমরা করব-সেটিই এখন প্রধান বিবেচ্য বিষয়।’
জেড নিউজ , ঢাকা ।