এক বা দুবছর নয়, টানা ১৬টি বছর দেশকে রীতিমতো চুষে খেয়ে বেলাশেষে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে চোরের মতো লেজ গুটিয়ে পালিয়ে যায় ফ্যাসিস্ট হাসিনা। এরপরই প্রতিবেশী ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারও লজ্জার মাথা খেয়ে সাদরে তাকে গ্রহণ করে নেয় তাদের দেশে।
ড. মোহাম্মদ ইউনূস দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে নরেন্দ্র মোদির কাছে ফেরত চেয়েছেন হাসিনাকে। এরপরও হাসিনা প্রীতি যেনো কমছে না নরেন্দ্র মোদি সরকারের। বাংলাদেশের মানুষ আর সরকারের সাথে ভারতের সম্পর্ক যাই হোক না কেন, ওদের যেনো হাসিনাকে লাগবেই লাগবে।
তবে হাসিনাকে ঠাঁই দেওয়ার পর থেকেই যেনো মোদির লেগেছে শনির দশা।হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ার পরই মণিপুরে শুরু হয় ভয়াবহ মাওবাদী বিদ্রোহ যা ছড়িয়ে পড়ে ছত্তিশগড় থেকে পাঞ্জাবেও। এই আগুন না নিভতেই ট্রাম্প অবৈধ ভারতীয়দের বের করে দেন রীতিমতো ঘাড় ধাক্কা দিয়ে।
পাশাপাশি মোদির ঘাড়ে চাপিয়ে দেয় শুল্কের বোঝা। ট্রাম্পের সেই শুল্ক নীতির কোন সুরাহা না হতেই ভারত অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেরাই পড়লো নতুন ফাঁদে। কাশ্মীর হামলাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সাথে ভারতের সম্পর্ক এখন আগ্নেয়গিরির মতো উত্তপ্ত।
এ যেনো ফ্যাসিস্ট হাসিনার বুদ্ধিতে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে গিয়ে এখন নিজেরাই চরম অশান্তিতে ভারত। দিল্লি থেকে মুম্বাই কোথাও নেই শান্তির রেশ, অশান্তিতে ছেয়ে গেছে ভারতীয়দের হৃদয়। তাই তো বলাই যায় হাসিনার মতো বন্ধু যার, তার কী আর শত্রুর প্রয়োজন হয়?
জেড নিউজ , ঢাকা ।