আগামী বছর হজের খরচ কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা কমতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এবার সরকারি বিশেষ প্যাকেজে হজযাত্রীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি খরচও বাড়ানো হবে। এ প্যাকেজের খরচ হবে ৭ থেকে সাড়ে ৭ লাখ টাকা। এ প্যাকেজের বাড়ি বা হোটেল থাকবে হারাম শরিফের ৫০০ থেকে ৭০০ মিটারের মধ্যে।
চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্যাকেজ-১-এর মাধ্যমে খরচ হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা। প্যাকেজ-২-এর মাধ্যমে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। আর বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৬ টাকা।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সরকারি ব্যবস্থাপনায় আগামী হজেও দুটি হজ প্যাকেজের ঘোষণা নিয়ে কাজ করছে। সাধারণ প্যাকেজ হিসেবে প্যাকেজ-১-এর খরচ কমানোর চেষ্টা চলছে। চলতি বছর হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ছিল এক লাখ ৬৭ হাজার ৮২০ টাকা। আগামী বছর তা দেড় লাখের নিচে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে মন্ত্রণালয়।
আগামী বছরের হজের প্রাথমিক নিবন্ধন গত ২৭ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। এবার নিবন্ধনের সময় ৪ লাখ টাকা দিতে হচ্ছে। তবে হজ এজেন্সি মালিকরা এর বিরোধিতা করে বলেছেন, প্রাথমিক নিবন্ধনে ৪ লাখ টাকা বেশি হয়ে যাচ্ছে। এতে সাড়া কম পাওয়া যাবে। কারণ হজের এত আগে একসঙ্গে এত টাকা দেওয়া অনেকের জন্য কষ্টকর। এ ছাড়া প্যাকেজ ঘোষণা না হওয়ায় হজে গমনেচ্ছুরা জানতে পারছেন না, এবার হজ পালন তার সাধ্যের মধ্যে থাকছে, নাকি থাকছে না।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্র জানায় এবার দুই মাস আগেই প্যাকেজ ঘোষণার চেষ্টা চলছে। এখন সৌদি প্রান্তের খরচ ও দেশে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া নির্ধারণের অপেক্ষা করছেন কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে সৌদি সরকার কোটা নির্ধারণ করে দিয়েছে। আগামী বছরের হজে বাংলাদেশের কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় আগামী হজেও দুটি প্যাকেজ ঘোষণা নিয়ে কাজ হচ্ছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।