বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলোয় ভারতীয় নাগরিকদের চাকরির খবরটি বেশ পূরণো। হাসিনার আমলে পরিচয় গোপণ রেখে তাদের উচ্চ বেতনে চাকরি দেওয়া হয়। মূলত ঢাকায় দিল্লির নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতেই স্পর্শকাতর এসব যায়গায় নিজস্ব লোক বসায় ‘র’। রবিবার এমনই সংবাদ দিয়েছে ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি জাতীয় দৈনিক।
সংবাদে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানে ভারতীয় আশীর্বাদপুষ্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলেও দেশটি নিয়ে শঙ্কা রয়েই গেছে। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সেনানিবাসের অভ্যন্তরে অবস্থিত সরকারি একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাওয়া গেছে ভারতীয় সামরিক কর্মকর্তাদের অস্তিত্ব।
সশস্ত্র বাহিনী পরিচালিত মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিত-এমআইএসটির দুটি বিভাগে শিক্ষক হিসেবে ভারতীয় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর চার কর্মকর্তা নিযুক্ত আছেন বলে দাবি করছে পত্রিকাটি। এতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক তথ্য ভারতে পাচার হওয়াসহ সার্বিক নিরাপত্তা ঝুঁকির আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
এমআইএসটির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর হিসেবে কর্মরত ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা কর্নেল অরিন্দম চ্যাটার্জি। একই বিভাগে ইন্সট্রাক্টর ক্লাস-বি হিসেবে কর্মরত ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার টি গোপি কৃষ্ণ।
এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সিনিয়র ইন্সট্রাক্টর হিসেবে কর্মরত ভারতীয় বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা গ্রুপ ক্যাপ্টেন সিদ্ধার্থ শঙ্কর পাটনায়েক ও গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এন সোমান্না। গোপনীয়তার জন্য এইসব কর্মকর্তার বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি বলেও প্রতিবেদন উল্লেখ করেছে ওই দৈনিকটি।
জেড নিউজ, ঢাকা।