এক মর্মস্পর্শী হৃদয় বিদারক ঘটনা। স্কুলের নিরাপদ পরিবেশে পাঠ নিচ্ছিল সন্তান।
বাইরে মায়ের অপেক্ষা মেয়ের জন্য। কিন্তু এই অপেক্ষার পালা মূহুর্তেই শেষ করে দিল বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান এফটি-৭ বিজিআই ।
মেয়েকে বাচাঁতে গিয়ে নিজেই ছুটে গিয়ে দগ্ধ হলেন মা। শেষ পর্যন্ত মেয়ের ছুটির ঘন্টা বাজার আগেই মায়ের জীবনের ঘন্টাই নিভে গেলো এ দূর্ঘটনায়। উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল ট্রাজেডির সাথে যুক্ত হলো মা রজনী খাতুনের নাম ।
বিমান দূর্ঘটনায় স্কুলে আগুন ছড়িয়ে পড়লে আতংকে ছোটাছুটি করতে থাকে স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা । রজনী ভেবেছিলেন তার মেয়ে ঝুমঝুম ক্লাসেই রয়েছে । ততক্ষনে শিশু কন্যা অন্যদের সাহায্যে ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে আসেন ।
কিন্তু মা রজনী সেটা জানতেন না। ফলে মেয়েকে খুঁজতে থাকা অবস্থায় মূহুর্তেই আগুনের লেলিহায় দগ্ধ হন রজনী ।
গুরুত্বর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে রাতেই বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি । মঙ্গলবার ভোরে রজনীর মরদেহ তার পৈতৃক নিবাস গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামে নেয়া হয়। পর সেখানেই তাকে দাফন করা হয় ।
রজনীর এ হৃদয় বিদারক ঘটনায় শোকে ছায়া নেমে এসেছে তার আত্নীয় -স্বজন ও গ্রামবাসীর মধ্যে । আর তার শিশু সন্তান এখনো ট্রমার মধ্যে, বুঝে উঠতে পারছে না কোনো কিছুই। মায়ের চলে যাওয়া কিভাবে মেনে নিবে ছোট্ট ঝুমঝুম!
জেড নিউজ , ঢাকা ।