সকালে বাবার হাত ধরে স্কুলে গিয়েছিলো শিশু জুনায়েদ। বাইরের খাবার খেলে ছেলের স্বাস্থ্যের ক্ষতির কথা ভেবে মা টিফিন বক্সে দিয়েছিলেন গরম ভাত। মায়ের যত্নে দেয়া খাবার খেয়ে নিরাপদে বেড়ে উঠবে আদরের সন্তান। কিন্তু মায়ের দেয়া খাবার খাওয়া হয়নি জুনায়েদের, হঠাৎই আকাশ থেকে নেমে আসা যুদ্ধ বিমানটি মুহুর্তেই নিভিয়ে দেয় তার জীবন প্রদীপ। উত্তরারর মাইলস্টোন স্কুলে গতকালের বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো জুনায়েদের বাবা এভাবেই বিলাপ করছিলেন সন্তান হারানোর বেদনায়।
একইভাবে জুনায়েদের মতো বাবার কোল থেকে চিরতরে হারিয়ে গেলো শিশু লামিয়া। বাবার ওপর অভিমান করে সকালে স্কুলে গিয়েছিল সে। মা স্কুলে নামিয়ে দিয়ে আদর করে বলেছিলেন, “বিকেলে ঘুরতে নিয়ে যাবেন। কিন্তু সেই বিকেল আর এল না। ভয়াল আগুন লামিয়াকে কেড়ে নিলো । আজ বাবার কণ্ঠে শুধু একটিই আর্তনাদ- কাকে নিয়ে এখন ঘুরতে যাবেন তিনি?
গতকালের দূর্ঘটনায় লামিয়া-জুনায়েদের সাথে নিহত হয় তাদের আরো অনেক সহপাঠী। নিহতদের অনেকের মরদেহ এখনও রাখা আছে হাসপাতালের মর্গে। মরদেহ বুঝে নিতে আসা স্বজনদের আর্তনাদে ভারী জাতীয় বার্ন ইন্সটিটিউটের বাতাস।
জেড নিউজ, ঢাকা।