ঢাকার চারটি পয়েন্টে শিগগিরই সিগন্যাল লাইট চালু করা হবে বলে জানিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার। তিনি বলেন, ডিএমপি ও সিটি করপোরেশনের সহায়তায় ঢাকা শহরে এই ধরনের যতগুলো জেব্রা ক্রসিং আছে পর্যায়ক্রমে সব ক্রসিংয়ে সিগন্যাল লাইট সিস্টেম চালু করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) মিরপুর-২ এ ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের বিপরীত পাশে ‘ডিআরএসপির আওতায় নিরাপদ পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প পরিদর্শন’ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
জাইকার ফান্ডিংয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের এই প্রজেক্ট পরীক্ষামূলকভাবে চালু হলেও পরবর্তী সময়ে আমরা স্থায়ী করা হবে জানিয়ে মো. সরওয়ার বলেন, পথচারী পারাপারের জন্য সিগন্যাল লাইট সিস্টেম চালু করেছি। গত ২০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া পরীক্ষামূলক কার্যক্রম আগামী ৮মে পর্যন্ত চলবে। আমাদের রিসোর্স আমরা ম্যানেজ করতে পারলে এইটাসহ আরও অনেক জায়গায় এই ধরনের পথচারী পারাপারের জন্য সিগন্যাল লাইট প্রজেক্ট চালু করবো।
এই প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এটার মূল বৈশিষ্ট্য— সাধারণত সড়কের দুপাশ দিয়ে যদি এক মিনিটে ২০০ গাড়ি পারাপার হয়, গাড়ি চলন্ত অবস্থায় একজন বা দুজন পথচারী পারাপার হতে যান তাহলে গাড়ির ফ্লো বাধাগ্রস্ত হয়। অন্যান্য উন্নত দেশের মতো আমরা পথচারীদের ফুটপাতে কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিট দাঁড় করিয়ে রাখবো। যখন পথচারীদের জন্য সিগন্যাল লাইট অন হলে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। তখন পথচারীরা একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রাস্তা পার হয়ে যাবেন। এরপরে আবার গাড়ি চলাচল শুরু হবে। ফলে আমাদের ঢাকার রোড সেফটির যে প্রজেক্ট, সেই প্রজেক্টের উদ্দেশ বাস্তবায়ন হবে। একদিকে পথচারীরা দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচবে, অপরদিকে আমাদের গাড়ি চলাচল অব্যাহত থাকবে। এর ফলে গাড়িও সঠিক গতিতে সঠিক সময়ে চলতে পারবে। পথচারীরাও একটু অপেক্ষা করে হলেও নিরাপদে রাস্তা পার হতে পারবে। ঢাকাবাসী যেন এই সিগন্যাল লাইট মেনে চলে আমরা সেই আহ্বান করছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন সংস্থা আছে— তারা ঢাকার সিগন্যালে লাইটগুলো স্থাপনের জন্য কাজ করছে। অলরেডি ঢাকা শহরের ২২টি সিগন্যালে দুই সিটি করপোরেশন বুয়েটের সহায়তায় সিগন্যাল লাইট বসাচ্ছে। সেগুলোতেও গাড়ি চলাচলের সিগন্যাল লাইটের পাশাপাশি পথচারীদের জন্য চলাচলের সিগন্যালও থাকবে।
যে চারটি পয়েন্টে সিগন্যাল লাইট চালু করা হবে— ফার্মগেট, সোনারগাঁও ক্রসিং, বাংলামোটর ও শেরাটন ক্রসিং।