লক্ষ করলে দেখা যাবে এই সমস্ত মানুষের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে
স্কুল, কলেজ, অফিস কিংবা চায়ের আসরে এমন একজন ব্যক্তি থাকেন, যার উপস্থিতি পরিবেশকে আরও সজীব ও ইতিবাচক করে তোলে। যাদের ছাড়া, পার্টি, পিকনিক, আড্ডা, জমকালো গেট টুগেদারও কেমন যেন ম্রিয়মান হয়ে পড়ে। তারা যেখানে যান সেখানকারই মধ্যমণি হয়ে ওঠেন। লক্ষ করলে দেখা যাবে এই সমস্ত মানুষের মধ্যে বেশ কয়েকটি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আপনিও যদি তাদের মতোই হন, এই বৈশিষ্ট্যগুলি আপনার মধ্যেও থাকবে।
গুরুগম্ভীর কিংবা নেতিবাচক পরিবেশকে নিমেষের মধ্যে সহজ ও ইতিবাচক করে ফেলার গুণ থাকলে বুঝবেন আপনার ব্যক্তিত্বে কোনো জাদুর পরশ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অচেনা মানুষও আপনার সঙ্গে কথা বলতে কিংবা সময় কাটাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।
হাসিখুশি স্বভাব
মুখের মিষ্টি হাসি, নরম-উষ্ণ ব্যবহার মানুষকে গ্রহণযোগ্য ও মূল্যবান বোধ করায়। সংযোগ স্থাপনের এটি একটি দারুণ উপায়। এ ছাড়াও, রুচিশীল রসবোধ, কথার মাধ্যমে মজার পরিবেশ তৈরি করা, সীমা রেখে রসিকতা করার গুণগুলিও ইতিবাচক ব্যক্তিত্বের স্পষ্ট লক্ষণ।
সহানুভূতিশীল শ্রোতা
কথোপকথনের সময় অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া, অন্যের কথা শোনা, কথার ছলে অন্যের প্রতি যত্নশীল হওয়া ইতিবাচক ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। এ ছাড়াও, তারা অন্যের আবেগের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে ফেলেন সহজেই। সহানুভূতিও দেখান। এই সমস্ত গুণের কারণে লোকের প্রশংসা পেলে বুঝবেন, আপনি মানুষটা বেশ ভালো।
চোখে চোখ রেখে
চোখে চোখ রেখে কথা বলা–একটি ইতিবাচক স্বভাবের উদাহরণ। এর ফলে আত্মবিশ্বাস প্রতিফলিত হয়, অন্যদের মনে আপনার প্রতি বিশ্বাস বাড়ে।
আত্মবিশ্বাসী, কিন্তু অহংকারী নন
অন্যদের ছোট না করেও যদি নিজের আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করতে পারেন, তা হলে বুঝবেন আপনি অনেকেরই প্রিয়পাত্র। এই আত্মবিশ্বাসের কারণেই আপনার প্রতি অন্যদের বিশ্বাস বাড়ে।
ছোট ছোট বিবরণের স্মৃতি
আপনি হয়তো সহজেই ব্যক্তিগত কথা, পছন্দ কিংবা অতীতের কথোপকথন মনে রাখতে পারেন। বিস্তারিতভাবে এই বিষয়টিও অপরদিকের মানুষকে বিশেষ বোধ করায়।