Sunday, May 25, 2025
More
    Homeলিড নিউজশেখ পরিবারের অবৈধ সম্পদের খোঁজে ১০ টিম

    শেখ পরিবারের অবৈধ সম্পদের খোঁজে ১০ টিম

    জেড নিউজ ডেস্ক।
    শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের দেশে-বিদেশে সম্পদ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্র্বতী সরকার। এ জন্য তিন সংস্থার সমন্বয়ে ১০টি টিম গঠন করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এসব টিম আজ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে। অনুসন্ধানের তালিকায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের নামও রয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ সাতটি বৃহৎ শিল্প গ্রুপের সম্পদের খোঁজও নেবে এই টিম।

    সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ অর্জন, রাজস্ব ফাঁকি ও অর্থ পাচারে সন্দেহভাজন গত সরকারের সময়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী গ্রুপের বিষয়ে অনুসন্ধানে এসব টিমের কার্যক্রম সমন্বয় করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণে থাকা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। আর আইনি সহায়তা দেবে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়। অনুসন্ধানের আওতায় আনা প্রভাবশালী বেশির ভাগের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ইতোমধ্যে ফ্রিজ করেছে বিএফআইইউ।

    জানা গেছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবার এবং আত্মীয়স্বজনের যাদের বিষয়ে তদন্ত করা হবে, প্রাথমিকভাবে তার একটি তালিকা করা হয়েছে। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, তাঁর বোন শেখ রেহানা, মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, ছেলে রেজওয়ান সিদ্দিক ববি, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ ফজলে ফাহিম, শেখ হেলাল, শেখ তন্ময়, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এবং তাদের পরিবারের সদস্য, স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তদন্ত করা হবে।

    অনুসন্ধানের আওতায় থাকা তালিকায় রয়েছে ব্যাংক দখল, ঋণ জালিয়াতি ও অর্থ পাচারে অভিযুক্ত এস আলম গ্রুপ। আরও রয়েছে সামিট, বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, ওরিয়ন, নাশা, জেমকন ও নাবিল গ্রুপ। ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সিঙ্গাপুর, কানাডা, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে তাদের বিষয়ে তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

    ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অর্থনীতি বিষয়ে শ্বেতপত্র প্রণয়নে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি কমিটি করে সরকার। গত রোববার ওই কমিটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে প্রতিবছর গড়ে ১৬ বিলিয়ন ডলার পাচার হয়েছে। টাকার অঙ্কে ১৫ বছরে পাচারের পরিমাণ ২৮ লাখ কোটি টাকার বেশি। ব্যাংক, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বেশি দুর্নীতি হয়েছে।

    সর্বশেষ

    বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আরো ১৭২ জনকে পুশইন করল বিএসএফ

    দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে একদিনে আরো ১৭২ জনকে পুশইন...

    কর্মবিরতিতে অচল এনবিআর, রাজস্ব আদায় ব্যহত

    জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলসহ চারদফা দাবিতে...

    প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায়নি বিএনপি, সংস্কারে ঐকমত্য

    বিএনপি কখনো প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ...

    চট্রগ্রাম বন্দর কাউকে দেওয়া হচ্ছে না: প্রেস সচিব

    চট্টগ্রাম বন্দরকে আমরা সংস্কার করতে চাচ্ছি, কাউকে দিচ্ছি না...

    আরও সংবাদ

    বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আরো ১৭২ জনকে পুশইন করল বিএসএফ

    দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে একদিনে আরো ১৭২ জনকে পুশইন...

    কর্মবিরতিতে অচল এনবিআর, রাজস্ব আদায় ব্যহত

    জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলসহ চারদফা দাবিতে...

    প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চায়নি বিএনপি, সংস্কারে ঐকমত্য

    বিএনপি কখনো প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ...