হাসিনার আন্তর্জাতিক খ্যাতির মোহ আর ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখার রোহিঙ্গাকার্ড এখন বাংলাদেশের জন্য গলার কাঁটা। নানামুখী তৎপরতা চালিয়েও যেই কাঁটা অপসারণে এতোদিন কোনো কূলকিনারা পাওয়া যাচ্ছিলো না। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রচেষ্টায় কিছুটা আশার আলো দেখছে ঢাকা।
বিশেষ করে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক লবিং ও আন্তরিক প্রচেষ্টায় আলোচনার বন্ধ কপাট খুলছে ধীরে ধীরে।
সূত্র বলছে, ২০১৭ সালে ব্যাপকভাবে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের পর সেটিকে নোবেল জয়ের মোক্ষম হাতিয়ার হিসেবে লুফে নেন ক্ষমতালোভী শেখ হাসিনা। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক দমন-পীড়ন আর গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার লঙ্ঘনে তার নিষ্ঠুরতার কাছে সেই উদারতা একেবারেই বিলীন হয়ে যায়। ফলে নোবেল পেতে তার আন্তর্জাতিক লবিং কোনো কাজেই আসেনি।
এরপর, তাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের কাছে একটি তালিকা পাঠানো হলেও তাতে সাড়া দেয়নি জান্তা সরকার। তবে চব্বিশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এই ইস্যুতে সরব হন ড. ইউনূস। তার তৎপরতায়ই প্রাথমিকভাবে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার।
সরকারের পক্ষ থেকে একে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক তৎপরতা আরো বাড়ানোর তাগিদ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।