প্রায় আড়াই হাজার বর্গ কিলোমিটার আয়তনের জেলা কক্সবাজার। ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী জেলার ৮টি উপজেলার মোট জনসংখ্যা ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ২৬৮ জন। সে হিসেবে জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ১ হাজার ১৩৩ জন।
বাংলাদেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় এই চিত্র অনেকটাই স্বাভাবিক। তবে অস্বাভাবিক বিষয় হলো এই জেলার দুটি উপজেলা উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩ টি শরনার্থী শিবিরে বর্তমানে আশ্রিত রয়েছে অন্তত ১৫ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এখনো প্রায় প্রতিদিনই মিয়ানমার থেকে কমবেশি আসছে এইসব বাস্তুচ্যুতরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতিরিক্ত এই রোহিঙ্গার কারনে এখন কক্সবাজারের ত্রাহি অবস্থা। তাদের ভারে যেন নুয়ে পড়েছে কক্সবাজারের পাহাড়, দুষিত হচ্ছে সাগর-নদী আর প্রাণ-প্রকৃতি। উজাড় হচ্ছে বন সম্পদ, বিলুপ্ত হচ্ছে বন্যপ্রাণী থেকে শুরু করে মাছ-গাছপালা।
কেবল তাই নয়, অতিরিক্ত এই লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে শ্রম বাজার থেকে শুরু করে চিকিৎসা, শিক্ষাসহ নানান সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীতেও। বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা, ছড়িয়ে পড়ছে মাদকের বিস্তার। সবমিলে প্রাণ-প্রকৃতি আর ধন-ঐশ্বর্যের কক্সবাজার যেন এক বৃহত বস্তিতে রূপ নিচ্ছে দিনকে দিন।
এদিকে রোহিঙ্গাদের এমন বাড়-বাড়ন্ত অবস্থা সরকারের মধ্যেও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। তাই যে করেই হোক তাদের নিজ দেশে ফেরাতে নানামুখী তৎপরতা জোরদার করছে ইউনূস সরকার।
জেড নিউজ, ঢাকা।