তিন ধাপের নিলামে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে প্রায় ৫০ লাখ ডলার কিনে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। রিজার্ভ বাড়ার পেছনে এ নিলামের প্রভাবও দেখছেন গভর্নর।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল— আইএমএফের নির্ধারিত বিপিএম৬ পদ্ধতি অনুসারে বাংলাদেশ ব্যাংকে বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ২৫ দশমিক ০৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বুধবার রাতে সাংবাদিকদের রিজার্ভের তথ্য দেন।
তার তথ্যমতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্রস’ রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে রেমিটেন্সের প্রবাহ বাড়ে। সঙ্গে রপ্তানি আয় বাড়ায় ডলার বাজারে যোগান বেড়ে যায়।
চলতি বছরের জুলাইয়ে ডলার জোগান চাহিদার চেয়ে বেশি হওয়ার এর দাম কমে যায়। তখন বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামের মাধ্যমে ডলার কিনে দর ১২২ টাকার ওপর রাখার চেষ্টা করে।
তিন ধাপে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে প্রায় ৫০ লাখ ডলার কিনে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বাজারে চলে আসে ৬০ হাজার কোটি টাকার তারল্য।
ডলার কেনার প্রভাব রিজার্ভে পড়ার তথ্য দিয়ে সপ্তাহ খানেক আগে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছিলেন, আগামীতে প্রয়োজন পড়লে আরও ডলার কেনা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভের তিন ধরনের পরিসংখ্যাণ সংরক্ষণ করে। একটি মোট রিজার্ভ, যেখানে বিভিন্ন তহবিলের অর্থের হিসাবও যোগ হয়।
দ্বিতীয়টি আইএমএফ পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ। আর তৃতীয়টি ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ।