ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রথম ঈদেই বাজিমাত করলো ইউনূস সরকার। স্বস্তিদায়ক পরিবেশের পাশাপাশি এবারের ঈদুল ফিতরে এলো সর্বোচ্চ বৈদেশিক মূদ্রা। সরকারি হিসাব বলছে, মার্চ মাসে ৩২৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে বৈধ পথে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবাসী আয়কে বলা হয় দেশে ডলার জোগানের একমাত্র দায়বিহীন উৎস। এই আয়ের বিপরীতে কোনো বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয় না। অন্যদিকে রপ্তানি আয়ের বিপরীতে দেশে ডলার এলেও তার জন্য কাঁচামাল ও যন্ত্রপাতি আমদানি করতে বিদেশি মুদ্রা খরচ করতে হয়। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতেও প্রয়োজন হয় ডলারের। ফলে প্রবাসী আয় বাড়লে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ডলারের রিজার্ভ বা মজুত দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
এদিকে প্রবাসী আয় বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মোট রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৬২ কোটি ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ২ হাজার ৪৬ কোটি ডলার।
সূত্রগুলো বলছে, প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকগুলোয় ডলারের যে সংকট চলছিল তা সহাসাই কেটে যাবে। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতি তথা বাজার ব্যবস্থায়ও।
জেড নিউজ, ঢাকা।