চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে সরাসরি মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আমেরিকার ক্রেতাদের কাছে তৈরি পোশাক পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ভারত হঠাৎ করে বাংলাদেশের জন্য এয়ার ট্রান্সশিপমেন্ট রুট বাতিল করার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। প্রস্তুত করা হয়েছে ২৭০ মেট্রিক টন পণ্য ধারণক্ষমতার দুটি ওয়ারহাউস। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষের দিকেই এয়ার শিপমেন্ট কার্যক্রম শুরু হবে।
সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল হওয়ায় চট্টগ্রামসহ দেশের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েন। তবে এবার নতুন করে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে সরাসরি এয়ার কার্গো চালুর উদ্যোগকে ব্যবসায়ীরা সম্ভাবনাময় ও স্বস্তিদায়ক হিসেবে দেখছেন।
বর্তমানে যাত্রীবাহী বিমানে করে সীমিত পরিসরে পণ্য পাঠানো হলেও এবার বিশেষায়িত কার্গো ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ম্যানপাওয়ার ও ইন্সপেকশন টিম সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাশাপাশি বিমানবন্দরে কার্গো রিসিভার সম্প্রসারণ, নতুন শেড নির্মাণ, কোল্ড স্টোরেজ মেরামত, দুটি ডুয়েল ডিও স্ক্যানিং মেশিন ও ওয়াকথ্রু মেটাল ডিটেক্টর বসানোসহ অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ চলছে।
এই উদ্যোগ সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে চট্টগ্রামের রপ্তানিকারকরা বড় পরিসরে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
জেড নিউজ, ঢাকা ।