যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ডগুলো থেকে পর্যাপ্ত ক্রয়াদেশ পেয়েছেন বাংলাদেশের স্থানীয় সরবরাহকারীরা। ফলে এ বছরের শেষদিকে বড়দিন পর্যন্ত তারা ব্যস্ত থাকবেন। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এসব পণ্যের চালান ট্রাম্পের শুল্কের আওতায় আসতে পারে।
কারখানাগুলো জুন থেকে বড়দিন মৌসুমের জন্য পুরোদমে পোশাক তৈরি শুরু করবে, যা জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত চলবে। যুক্তরাষ্ট্রে এসব পণ্য পাঠানো শুরু হবে আগস্ট থেকে, যাতে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সেগুলো বিক্রি করা যায়। পশ্চিমা বিশ্বে শরৎ ও শীতকাল, বড়দিন এবং থ্যাঙ্কসগিভিং পোশাক বিক্রির প্রধান মৌসুম।
তবে, স্থানীয় পোশাক রপ্তানিকারকদের একটি বড় অংশ এখনো ট্রাম্পের আরোপিত শুল্কের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন। অবশ্য ট্রাম্পের আদেশেই এই শুল্ক আপাতত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রয়েছে।
পরবর্তী গ্রীষ্ম মৌসুমের কাজের আদেশ নিয়ে সরবরাহকারী এবং ক্রেতা উভয়ই এখনো আলোচনা শুরু করেননি। ক্রেতারা ট্রাম্পের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছেন।
বাংলাদেশি পোশাক সরবরাহকারীরা এখন ইউরোপ ও অন্যান্য দেশে রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে কাজের আদেশ নিয়ে আলোচনা করছেন, কারণ এসব বাজারে বাংলাদেশের জন্য শুল্ক সুবিধা বা শূন্য শুল্ক রয়েছে।
রপ্তানীকারকরা বলছেন, ভারতীয় পণ্যের উপর শুল্ক বাংলাদেশের চেয়ে কম হলেও, ভারতের উৎপাদন ক্ষমতা ততটা বেশি নয়। এছাড়াও, পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে কম শুল্কের সুবিধা পেলেও, তাদের পণ্যের বৈচিত্র্য বাংলাদেশের মতো নয়।
জেড নিউজ, ঢাকা।