সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুত থাকলেও দেশের চালের বাজারে অস্থিরতা বেড়েই চলেছে। ভরা বোরো মৌসুমে যেখানে চালের দাম নিম্নমুখী হওয়ার কথা, সেখানে মিলারদের দাদন বাণিজ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এতে পাইকারি ও খুচরা বাজারে হু হু করে বড়েছে দাম। খুচরা বাজারে এক কেজি মোটা চাল কিনতে এখন ৬০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ১৩ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি গুদামে খাদ্যশস্য মজুত ছিল ২২ লাখ ৮ হাজার ৯২৯ টন। এর মধ্যে চাল ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯১৬ টন, গম ১ লাখ ৫৬ হাজার ৮১০ টন এবং ধান ৮০ হাজার ৩১৩ টন।
পর্যাপ্ত মজুত থাকলেও গত তিন মাসে বস্তাপ্রতি চালের দাম বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। বর্তমানে মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৩৮০০–৩৯০০ টাকায়, আগে ছিল ৩৫০০–৩৬০০ টাকা। নাজিরশাইলের ২৫ কেজি বস্তা ২০০০–২১৫০ টাকা, আগে ছিল ১৮০০–১৯৫০ টাকা। বিআর-২৮ এর ৫০ কেজি বস্তা ২৯০০–২৯৫০ টাকা, আগে ছিল ২৭০০–২৭৫০ টাকা। স্বর্ণা ৫০ কেজি বস্তা এখন ২৭০০–২৭৫০ টাকা, আগে ছিল ২৫০০–২৫৫০ টাকা।
খুচরা বাজারেও একই চিত্র। ভালো মানের মিনিকেট কেজিপ্রতি ৮৫–৮৭ টাকা, মাঝারি মানের মিনিকেট ৮০ টাকা, নাজিরশাইল ৯০ টাকা, বিআর-২৮ ও পাইজাম ৬৫ টাকা এবং স্বর্ণা মোটা চাল ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, মিলাররা দাদন বাণিজ্যের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। ভোক্তারাও বলছেন, ভরা মৌসুমে এভাবে দাম বাড়া অস্বাভাবিক। তবে মিল মালিকরা দাবি করছেন, ধানের দাম বাড়ায় উৎপাদন খরচ বেড়েছে।
জেড নিউজ , ঢাকা ।