জেড নিউজ, ঢাকা।
আওয়ামী পররাষ্ট্র নীতি ছিলো ভারতমুখী। সে কারনে ভারতীয় প্রেসক্রিপশন ধরেই মন্ত্রী-সচিব থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে হতো নিয়োগ-পদায়ন। এভাবে বছরের পর বছর বাংলাদেশ থেকে ভারত অন্যায্য সুবিধা আদায় করেছে অত্যন্ত কৌশলে।
সূত্র বলছে, দ্বিপক্ষীয় ইস্যু নিয়ে দেনদরবারে হাসিনার সরকার সব সময়ই ছিলো ভারতের কাছে কোনঠাসা। কেননা এই কাজে যিনি প্রধান ভূমিকা পালন করে থাকেন সেই পররাষ্ট্র সচিবই থাকতেন সব সময়ই ভারত ঘেঁষা। বিগত দেড় দশক ধরে তিনজন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও তিনজন পররাষ্ট্র সচিব দায়িত্ব পালন করলেও তারা কেউই ভারতের বিরুদ্ধে বড় ধরণের কোনো কূটনৈতিক সাফল্য দেখাতে পারেননি।
এর মধ্যে সর্বশেষ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ছিলেন সবচেয়ে বেশি ভারতমুখী। তাদের বিরুদ্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাই অভিযোগের শেষ নেই।
সর্বশেষ চব্বিশের ৫ আগস্টের পর সচিব মাসুদ বিন মোমেন মন্ত্রণালয়ের দুই কর্মকর্তাকে বেআইনি সুবিধা দিয়েছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে একটি জাতীয় দৈনিক। রাজনৈতিক ভাবে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা সাংবাদিক মিথিলা ফারজানা ও অপর্না পাল- যারা ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে ব্যাপকভাবে সমালোচিত, গোপনে তাদের বিদেশে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন মাসুদ বিন মোমেন। প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে এটি গুরুতর অপরাধ বলে পত্রিকাটির ওই খবরে উল্লেখ করা হয়।