হাসিনার আমলের দূর্নীতির আরেক নাম তৎকালীন মুখ্য সচিব এবং বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস । বলা হয় হাসিনার আমলের চতুর দূর্নীতিবাজদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম । ক্ষমতার অপব্যবহার করে কায়কাউস প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব থাকা অবস্থাতেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
২০২৩ সালে চতুর এই আমলা বুঝতে পেরেছিলেন যে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন আসন্ন। আর এই কারণেই তিনি নিজে বাঁচার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।
যেহেতু তিনি মার্কিন নাগরিক এবং তিনি শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ, সেই কারণেই ২০২৩ সালে তিনি ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। সেই সময় তিনি হাসিনাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যে, ওয়াশিংটনে থাকলে তিনি অনেক কাজ করতে পারবেন।
তিনি প্রথমে সরকারি চাকরি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তিতে তিনি মার্কিন লবিস্ট ফার্ম ‘মরান গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক-এ যোগদান করেন।
তার এ যোগদানের পিছনে রয়েছে অর্থ বিনিয়োগ। নিউইয়র্কের শেয়ার মার্কেটের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায় মরান গ্লোবাল স্ট্র্যাটেজিক বা এমজিএস এ বেশ কিছু শেয়ার কিনেছেন ড. আহমদ কায়কাউস। এরপর তিনি শেয়ার মার্কেট থেকে লভ্যাংশ তৈরি করেছেন। লভ্যাংশ তৈরি করে তিনি বাড়িঘর করেছেন।অনুসন্ধানে , মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার ৮টি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রত্যেকটি সম্পদের আর্থিক উৎস হলো শেয়ার মার্কেটের বিনিয়োগ থেকে উপার্জিত অর্থ।
জেড নিউজ , ঢাকা