বাংলাদেশসহ ৯০টির বেশি দেশের জন্য নতুন শুল্কহার ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিভিন্ন পণ্যের ওপর ১০ থেকে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত নতুন শুল্ক আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের উপর আরোপিত শুল্কহার ২০ শতাংশ- যা কাযকর হবে ৭ আগস্ট থেকে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আলোচনার অংশ হিসেবে দেশগুলোকে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে মার্কিন পণ্য কেনার স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশ ২০ শতাংশ শুল্ক হার অর্জন করেছে যা শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো পোশাক খাতের প্রধান প্রতিযোগীদের সমতুল্য। তাছাড়া এ হার প্রতিবেশী ভারতের চেয়ে ৫ শতাংশ কম। এসব বিষয় বিবেচনায় নিলে, নতুন এ সিদ্ধান্তে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশের তুলনামূলক প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান সুবিধাজনক।
মার্কিন শুল্কারোপ প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি জানান, প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ মোটামুটি স্বাভাবিক অবস্থানেই রয়েছে। ফলে আমরা ধীরে ধীরে এই চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠতে পারব।
তবে, গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং এর নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্কহার ৩৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নামানো রফতানি খাতের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি সুযোগ এবং একই সঙ্গে সতর্কবার্তা, যাতে একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ, প্রতিযোগিতামূলক ও সহনশীল বাণিজ্য কৌশল গড়ে তোলা যায়।
জেড নিউজ, ঢাকা।