যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাল্টা শুল্ক শেষ পর্যন্ত দেশটিতে বাংলাদেশের রপ্তানি চিত্র পাল্টে দিতে পারে। এর ফলে শুধু তৈরি পোশাক নয়, হোম টেক্সটাইল, প্লাস্টিক, চামড়াজাত পণ্যসহ আরো কয়েকটি খাতে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
নতুন শুল্ক কাঠামোতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের হোম টেক্সটাইলের একটা ভালো সুযোগ তৈরি করবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। চীন এখন যুক্তরাষ্ট্রে এসব পণ্যের প্রধান রপ্তানিকারক। এরপরই রয়েছে ভারতের অবস্থান। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এ দেশ দুটির শুল্ক বাংলাদেশের দ্বিগুণের বেশি। একই সঙ্গে প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, সেখানকার ন্যূনতম ২০ শতাংশ কাঁচামাল ব্যবহার হলে অর্থাৎ এ খাতে তুলার মূল্য পরিমাণ অংশে পাল্টা শুল্কছাড়ের বাড়তি সুবিধাও প্রতিযোগীদের তুলনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখবে। কারণ হোম টেক্সটাইলে তুলার ব্যবহার বেশি।
এ খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, পাল্টা শুল্ক ঘোষণার পর মার্কিন পুরোনো অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান আবার ফিরে এসেছে। নতুন ক্রেতারাও যোগাযোগ করছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক কাঠামো দেশটিতে বাংলাদেশের প্লাস্টিক পণ্যের বাজার প্রবেশ সহজ করবে।গত অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চামড়া ও চামজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি ডলারের। তৈরি পোশাকের মতোই যুক্তরাষ্ট্রে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানিতে আগে ১৬ শতাংশ শুল্ক ছিল। পাল্টা শুল্কহার কার্যকর হওয়ার পর এখন তা ৩৬ শতাংশে দাঁড়াল। যা প্রতিযোগী দেশগুলোর চেয়ে কম।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রে আরও বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় বাংলাদেশ থেকে। এগুলোতেও আগামীতে বেশ সম্ভাবনা দেখছেন রপ্তানিকারকরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে হেড গিয়ার বা বিভিন্ন ক্যাপ, হেলমেট, পাখির পালক, কৃত্রিম ফুল, ওষুধ, তামাক ও তামাক পণ্য এবং বিভিন্ন ধরণের ফার্নিচার।
জেড নিউজ, ঢাকা।