বিদেশে কর্মী পাঠানোর নামে দালাল, রিক্রুটিং এজেন্সি কিংবা শ্রমবাজার নিয়ে সিন্ডিকেট বহুদিনের। বিদেশগামীদের সঙ্গে প্রতারণা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে অনেকদিন ধরেই দাবি জানাচ্ছেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ও ভুক্তভোগীরা।
অনেকে প্রত্যাশা করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর মানব পাচার, শ্রমবাজারে হয়রানি বন্ধ, এমনকি নতুন বাজার সৃষ্টিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু ১০ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও মানব পাচার বন্ধ করা, নতুন শ্রমবাজার কিংবা বন্ধ বাজার চালুর ক্ষেত্রে সফলতা দৃশ্যমান নয়।
২০১৯ থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে মানব পাচারসংক্রান্ত মামলা হয়েছে মোট ৪ হাজার ৫৪৬টি। উন্নত জীবনের আশায় কিংবা বিদেশে ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অভিবাসনে ইচ্ছুকদের সঙ্গে প্রতারণা করায় এসব মামলা হয়।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানব পাচার নিয়ে বিগত সময়ে বিপুলসংখ্যক মামলা হলেও সেগুলোর বিপরীতে সাজাপ্রাপ্তির হার নগণ্য। এমনকি মানব পাচারের অভিযোগে যাদের গ্রেফতার করা হয়, পরবর্তী সময়ে তারা জামিন নিয়ে পুনরায় সে কাজই অব্যাহত রাখেন। বছরের পর বছর ধরে বিচারহীনতার সংস্কৃতি অভিবাসন খাতকে ঝুঁকিতে ফেলছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।