২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে বড় ধরনের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর সীমান্ত নীতির কারণে খেলোয়াড়, দর্শক ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তারা ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর প্রতি আয়োজন পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছে।
পলিটিকোর বরাতে জানা গেছে, ফিফাকে পাঠানো এক চিঠিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে—“যদি অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করা না যায়, তবে ফিফার উচিত আয়োজক দেশ পুনর্বিবেচনার জন্য প্রস্তুত থাকা। ”
সীমান্ত নীতিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শঙ্কা
সংগঠনটি যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য অভিবাসন ও ভিসা নীতির কিছু দিক নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
– নির্দিষ্ট দেশগুলোর নাগরিকদের ওপর সম্ভাব্য ভিসা নিষেধাজ্ঞা
– যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে ভ্রমণকারীদের আটক, জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রবেশে বাধা
– দীর্ঘ ও জটিল ভিসা প্রক্রিয়া, যা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারীদের জন্য দুঃসহ হয়ে উঠতে পারে।
চিঠিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়, “ফিফাকে স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করতে হবে—কোন নীতিগত পরিবর্তন হলে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা পাবে। একই সঙ্গে নির্ধারিত সময়সীমা ও পদক্ষেপও প্রয়োজন। ”
হোয়াইট হাউসের প্রতিশ্রুতি
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন অবশ্য আশ্বাস দিয়েছে—বিশ্বকাপ চলাকালীন বিদেশি দর্শক ও অংশগ্রহণকারীদের জন্য যাত্রা হবে নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিশ্বকাপ টাস্কফোর্সের বৈঠকে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতিটি বিভাগ কাজ করবে যেন এই আয়োজনে কোনো সমস্যা না হয়। যারা বিশ্বকাপ দেখতে আসবেন, তারা যেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নির্বিঘ্ন অভিজ্ঞতা পান, সেটা নিশ্চিত করা হবে। এটা হবে এক বিশেষ আয়োজন।
ফিফার কাছে মানবাধিকারের দায়বদ্ধতা দাবি
চিঠির শেষাংশে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, “২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজনের পেছনে মানবাধিকার রক্ষার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। আর সেটি বাস্তবায়নে দায় ও কর্তৃত্ব দুটোই রয়েছে ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনোর ওপর। ”
২০২৬ বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ তিনটি—যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো। ফিফার হিসাবে, আসন্ন বিশ্বকাপে ৬.৫ মিলিয়ন বা ৬৫ লাখ দর্শক অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।