মাতারবাড়ী আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য গত মার্চে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানি করা কয়লার একটি চালানে প্রায় ১৫০টি পাথর পাওয়া গেছে। যারমধ্যে কিছু পাথরের ওজন ছিলো ৩০ কেজি পর্যন্ত। বিদ্যুৎ বিভাগের তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
জানাযায়, কয়লার ১১তম চালানের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কয়লা খালাস করার পর এই পাথরগুলো ধরা পড়ে। পাথর ছাড়াও কয়লার চালানটি ছিল পানিতে ভেজা এবং মাটি ও লালচে বর্ণের অনাহত উপাদান মেশানো, যা এর ওজন বাড়িয়ে দেয়।
তদন্ত কমিটি অতিরিক্ত পানির কারণ জানতে চাইলে সরবরাহকারী দাবি করে, ইন্দোনেশিয়ার খনি থেকে লোডিং বন্দরে পরিবহনের সময় “ভারী বৃষ্টি”র কারণে এমন হয়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত বড় পাথর ও অন্যান্য অনাহুত পদার্থের স্পষ্ট কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দূষিত কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতির জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এই মিশ্রণ বা দুষণের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে শুরুতে বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ পুরো চালানই ফিরিয়ে দিতে চেয়েছিল। তবে পরে শর্তসাপেক্ষে তা গ্রহণ করে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তদন্ত প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি সরবরাহকারীদের জানিয়েছে। বাংলাদেশের মেঘনা গ্রুপ এবং ভারতের আদিত্য বিরলা গ্লোবাল ট্রেডিং পিটিই লিমিটেডের যৌথ কনসোর্টিয়াম এই কয়লার সরবরাহকারী।
জেড নিউজ, ঢাকা।