উত্তরার মাইলস্টোন স্কুলের একটি কক্ষে থরে থরে সাজানো নানা রঙের ব্যাগ। প্রতিটি ব্যাগে কাগজে লেখা শিক্ষার্থীর নাম, ক্লাস ও কোড নম্বর উড়ছে ফ্যানের বাতাসে। লাল, নীল, বেগুনী এসব ব্যাগ কাঁধে ঝুলিয়ে সেদিন বিদ্যালয়ে এসেছিলো শিশুরা। প্রতিটি ব্যাগের ভেতরে রয়েছে পরম মমতায় জড়ানো বই-খাতা-কলম। রয়েছে মায়ের দেওয়া টিফিন বক্স, পানির বোতল। এখন প্রতিটি ব্যাগই যেনো হয়ে উঠেছে বাবা-মায়ের জন্য একেকটি দুঃসহ স্মৃতি।
বিমান বিধ্বস্তের পর যেন উবে গেছে শিশুদের স্বপ্নও। আজ কেউ হাসপাতালে কাতরাচ্ছে, কেউ আতঙ্ক নিয়ে স্কুলের আঙিনা থেকে অনেক দূরে। পুড়ে যাওয়া ব্যাগেই সন্তানের স্পর্শ খুঁজে ফিরছেন হতভাগা এসব বাবা-মা।
এদিকে, বিমান দূর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শিক্ষার্থীরাও ভালো নেই।
তারা কিছুতেই ভুলতে পারছেনা বিভিষীকাময় সে দিনের কথা। প্রতি মুহুর্তেই এক অজানা আতংক তাড়া করে ফিরছে তাদের। এসব শিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে তাদের কাউন্সেলিং করাচ্ছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিগগিরই হয়তো বিদ্যালয়ে ফিরবে এসব শিশুরা, তবে তারা কি আবার ফিরতে পারবে স্বাভাবিক জীবনে! এমন প্রশ্নই এখন সবার মনে।
জেড নিউজ, ঢাকা।