অন্তর্বর্তী সরকারের অসামান্য কুটনৈতিক সাফল্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক কাঠামোর কারণে বাংলাদেশে বাড়ছে তৈরি পোশাকের অর্ডার। ভারতে শুল্কহার ৫০ ভাগ। বাংলাদেশে শতকরা ২০ ভাগ। ফলে ভারত ও চীন থেকে ক্রেতারা অর্ডার স্থানান্তর করছেন। এ খবর দিয়েছে নিক্কি এশিয়া অনলাইন।
এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক সাপ্লাই চেইন পুনর্বিন্যাসের মধ্য দিয়ে অর্ডার বেড়েছে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। বাংলাদেশের জন্য মার্কিন শুল্কহার ভিয়েতনামের সমান এবং কম্বোডিয়ার থেকে মাত্র এক শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে, বিশ্বব্যাপী উৎপাদনকেন্দ্র চীনের ক্ষেত্রে শুল্কহার ৩০ শতাংশ যা বেড়ে ৫০ শতাংশেরও বেশি হতে পারে এবং ২৭ আগস্ট থেকে ভারতের ক্ষেত্রে কার্যকর হচ্ছে ৫০ শতাংশ। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারকরা জানান, শুল্ক কমে ২০ শতাংশ হওয়ার পর তাদের কাজের অর্ডার প্রায় ১০ শতাংশ বেড়েছে। বার্ষিক ৯৩০ মিলিয়ন ডলারের টার্নওভার বিশিষ্ট একটি কোম্পানি যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি থেকে আয় করে ৯২ শতাংশ। ইতোমধ্যেই, অর্ডার মূলত চীন ও ভারত থেকে বাংলাদেশে স্থানান্তরিত হচ্ছে। কিছু মার্কিন ক্রেতা বা তাদের প্রতিনিধিরা এখন ঢাকায় এসে ওই কোম্পানির সাথে আলোচনা করছেন যে, তারা অতিরিক্ত ১০ থেকে ২০ লাখ পিসের অর্ডার নিতে পারবে কিনা।
ভারতের ওপর বাড়তি মার্কিন শুল্কের কারণে সেদেশ থেকে বিশ্বখ্যাত বিভিন্ন ব্র্যান্ড তাদের ক্রয়াদেশ প্রত্যাহার করে বাংলাদেশি কোম্পানীগুলোর সাথে যোগাযোগ করছে। তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানোরও পরামর্শ দিচ্ছে। সব মিলিয়ে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প একটা সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।