ভারতের মতো বহুভাষিক রাষ্ট্রে যেখানে প্রতিটি ভাষার সাংবিধানিক স্বীকৃতি রয়েছে, সেখানে বাংলা ভাষার উপর অবজ্ঞা এবং অপমানমূলক আচরণ দিন দিন বাড়ছে। মোদি সরকারের শাসনামলে একাধিকবার দেখা গেছে বাংলা ভাষাকে বিদেশি, এমনকি বাংলাদেশি ভাষা বলেও চিহ্নিত করা হচ্ছে ।
সম্প্রতি দিল্লি পুলিশের একটি চিঠিতে বাংলাকে সরাসরি বাংলাদেশি ভাষা হিসেবে উল্লেখ করে চিঠি দেওয়া হয়েছে নয়াদিল্লিস্থ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবাসিক কার্যালয়ে।
ওই চিঠিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি সন্দেহে আটককৃতদের নথি বাংলাদেশি ভাষায় লেখা আছে, সেটিকে যাচাই করতে ইংরেজি ও হিন্দিতে অনুবাদ করার জন্য অনুবাদক প্রয়োজন।
এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ও সামাজিক মহল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টিকে ‘অসাংবিধানিক ও অপমানজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, স্বামী বিবেকানন্দ, কাজী নজরুল ইসলাম সবার ভাষা। এই ভাষা ভারতের ২২টি সাংবিধানিক ভাষার একটি। তাকে বাংলাদেশি ভাষা বলা ভারতের বাংলাভাষীদের অস্তিত্ব অস্বীকার করার নামান্তর।
বাংলা ভাষাকে ভারতীয় পরিচয় থেকে মুছে ফেলতেই মোদি সরকার এমন ঘৃণ্য পরিকল্পনা করছে বলেও অভিযোগ করেন পশ্চিমবঙ্গের সরকার প্রধান মমতা বন্দোপাধ্যায়।
জেড নিউজ , ঢাকা ।