ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির পাশেই গুরগাঁও বস্তিতে গত মাসে স্থানীয় প্রশাসন অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী শনাক্তের নামে অভিযান চালায়। অভিযানে শত শত শ্রমিককে আটক করা হয়। অধিকাংশই দাবি করছেন, তারা পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ভাষাভাষী মুসলিম। এ সময় তারা পুলিশের বিরুদ্ধে মারধর করার অভিযোগও করেন।
আটক ব্যক্তিদেরকে নাগরিকত্ব প্রমাণের কাগজপত্রও দিতে বলা হয়। তবে ভোটার কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে তা জাল বলে উল্লেখ করে পুলিশ। এই অভিযানের মধ্যেই আতঙ্কে শত শত শ্রমিক রাতারাতি পালিয়ে গেছেন, ফেলে গেছেন কাজ, ঘর, এমনকি পরিবারও। ভুক্তভোগীরা জানান, ‘ভাষার জন্য, ধর্মের জন্য, নাকি আমি গরিব বলে আমাকে টার্গেট করা হলো?
গুরগাঁও পুলিশের দাবি, কোনো ধর্ম বা শ্রেণিকে লক্ষ্য করে অভিযান হয়নি। ‘২৫০ জনকে আটক করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে মাত্র ১০ জন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন। তাদেরকে ফেরত পাঠানো হবে। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বাংলাদেশ থেকে আসা কথিত অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ভারতের এই অভিযান নতুন নয়। তবে নরেন্দ্র মোদির সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ অভিযান আরও তীব্র হয়েছে। সম্প্রতি সেখান থেকে শত শত বাংলা ভাষাভাষী মুসলিমকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।