দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণের নামে ৪ লাখ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আলোচিত ১০ প্রতিষ্ঠান। এসব অর্থের বেশির ভাগই বিদেশে পাচার হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। দায়িত্বশীল এক সূত্র জানিয়েছে, আলোচিত ১০টি কোম্পানি সুকৌশলে ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে টাকা টাকা তুলে তা দেশে বিনিয়োগ না করে বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার করেছে। ইতোমধ্যে দেশী-বিদেশী একাধিক সংস্থা পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে কাজ শুরু করেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পাচারকৃত অর্থের গন্তব্য চিহ্নিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সবচেয়ে প্রভাবশালী ছিলেন ব্যাংক খেকো এস আলম গ্রুপ। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বোন রেহেনাসহ তাদের পরিবারের সদস্যদের অর্থের জোগান দিতো গ্রুপটি। পাশাপাশি নিজেরাও হাতিয়ে নেয় জনগণের টাকা।আরেক ব্যাংক খেকো সালমান এফ রহমান নামে-বেনামে অর্থ বের করে নিয়েছেন ৫৩ হাজার কোটি টাকা। এটাও প্রাথমিক হিসাব। প্রকৃত হিসাবে আরো ১৭ হাজার কোটি টাকা বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন তদন্ত সংস্থাগুলো।
পাচারের তালিকায় অন্য আটটি প্রতিষ্ঠারের মধ্যে রয়েছে নাসা গ্রুপ। গ্রুপটির চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার কিছুদিন পরপর নানা অজুহাতে ব্যাংকগুলো থেকে চাঁদা তুলে শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিলে সরবরাহ করতেন। তিনি ব্যাংকিং খাত থেকে নামে-বেনামে বের করে নিয়েছেন ২১ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। এসব অর্থের বড় একটি অংশ পাচারের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।এ ছাড়া ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে পাচারের তালিকায় ওরিয়ন গ্রুপ ও নাবিল গ্রুপেরও নাম রয়েছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।