বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রশংসা, গৌরবগাথা বিশ্বজুড়ে। বিশ্বের যেসব দেশে গৃহযুদ্ধ, হানাহানি এবং অশান্তি চলছে, সেখানেই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শান্তির বার্তা পৌঁছে দিয়েছে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনের মাধ্যমে।
এছাড়া, দেশের অভ্যন্তরে শান্তি–শৃংখলা রক্ষায় আমাদের সশস্ত্র বাহিনী গত ৯ মাসে জনগণের আস্থার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। সশস্ত্র বাহিনী দেখিয়েছে কিভাবে উচ্চাকাঙ্ক্ষা পরিত্যাগ করে জনগণের পাশে থেকে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দেশ গড়ার সংগ্রাম করা যায়।
ফ্যাসিবাদী সরকার সেনাবাহিনীকে মাঠে নামিয়েছিল ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং জনগণের আন্দোলন দমন করার জন্য। সেই সময় সেনাবাহিনী এক ঐতিহাসিক ভূমিকা গ্রহণ করে। সশস্ত্র বাহিনী ফ্যাসিস্ট সরকারের ক্ষমতালিপ্সার হাতিয়ার হয়নি। সেনাপ্রধানের অসাধারণ এবং বলিষ্ঠ ভূমিকায় সেনাবাহিনী জনগণের মুখোমুখি দাঁড়ায়নি।
৫ আগস্টের পরও দেশে যখন সংকটময় পরিস্থিতি তখন আমাদের সশস্ত্র বাহিনী অকুতোভয় সৈনিকের মতো রাজপথে থেকেছে, জনগণকে শান্ত রেখেছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। একটি অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পথকে প্রশস্ত করেছে।
বিগত ৯ মাসে কেবল শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষাই করেনি, বন্যায় আর্তমানবতার সেবাসহ সকল সংকটে দেশবাসীর আস্থার প্রতীক হয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
জেড নিউজ, ঢাকা।