কয়লা আমদানি জটিলতায় থমকে আছে পটুয়াখালী ১৩২০ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। পরীক্ষামূলকভাবে চালুর ৮ মাস অতিবাহিত হলেও বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু না করায় রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়েছে হাজার কোটি টাকারও বেশি।
চার দফায় দরপত্রে অংশ নিয়ে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও কয়লা সরবরাহের সুযোগ না পাওয়ায় ‘সিন্ডিকেটের অনিয়ম’তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়ে সম্প্রতি চিঠি দিয়েছে সিঙ্গাপুরভিত্তিক কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইয়াংথাই এনার্জি।
এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বিগত সাড়ে ১৫ বছর ধরে সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু- সংশ্লিষ্টরা যেভাবে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে জ্বালানি সরবরাহ করে আসছিল, এখনো তারাই এ খাতটি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে আসছে। বিপু সিন্ডিকেট -এর বাধায় কয়লা আমদানির জন্য চারবার দরপত্র ডেকেও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়া ভারতের আদানি গ্রুপ থেকে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ আমদানি করে লুণ্ঠন ব্যবস্থা বহাল রাখতে পটুয়াখালীর বিদ্যুৎকেন্দ্রটিসহ দেশের প্রায় সব বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা কাজে লাগানো হয়নি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে, শুধু পটুয়াখালীর ১৩২০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি চালু করলে আদানির কাছ থেকে আর বিদ্যুৎ এনে দেশের কোটি কোটি টাকা গচ্চা দিতে হতো না। এখানে সুবিধাভোগী শ্রেণির আর্থিক সুবিধা জড়িত থাকায় তারা কোনোভাবেই দেশের বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করতে চায় না
জেড নিউজ, ঢাকা।