শুধু দেশে নয়, বিদেশেও গোলাম দস্তগীর গাজী সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বিশ্বের আটটি দেশে তাঁর সম্পদ রয়েছে। মালয়েশিয়ায় ‘মাই সেকেন্ড হোম’ কর্মসূচিতে গাজী, তাঁর স্ত্রী ও সন্তান অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বিপুল টাকা খরচ করে। গাজী প্লাস্টিক ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ভুয়া কোম্পানি খুলে মালয়েশিয়ায় বিনিয়োগের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন গাজী এবং তাঁর পরিবার।
দুদকের এক সূত্র বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে দুদক তাঁর এসব অর্থ পাচারের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে। তাতে জানা গেছে, গত ১৫ বছরে ৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন গোলাম দস্তগীর গাজী।২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গাজীর উত্থান পর্ব শুরু হয়। এসময় গাজী জনকল্যাণ না করে লুটপাট, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন।
গাজী হুন্ডি, আন্ডার ইনভয়েস এবং ওভার ইনভয়েসের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গাজী প্লাস্টিক ৮২৫ কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করেছে। কিন্তু এর বিপরীতে বাংলাদেশে এসেছে মাত্র ২৩ কোটি টাকার পণ্য।
আওয়ামী লীগ আমলে ১৫ বছরে গোলাম দস্তগীর গাজী স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
জেড নিউজ, ঢাকা।