আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও মানবাধিকার আইনের তোয়াক্কা না করে সীমান্তে পুশইন অব্যাহত রেখেছে ভারত। আসামে নাগরিক পঞ্জিতে বাদ পড়া প্রায় ১৯ লাখ বাংলাভাষীকে ‘চিহ্নিত বিদেশী’হিসেবে তালিকাভুক্ত করে তাদেরকে দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশে পুশইন করার এক মহাপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে ভারতীয় সরকার।পুশইন করার তালিকাভুক্ত শত শত মানুষকে আসামের কমপক্ষে ছয়টি বন্দিশিবিরে রাখা হয়েছে। এসব বন্দিশিবিরে গত কয়েক বছরে ২৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর আপত্তি ও বাংলাদেশ সরকারের লিখিত প্রতিবাদের পরও সীমান্তে অবৈধ পুশইন জোরদার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।সিলেট সীমান্ত ঘেঁষা ভারতের মেঘালয় রাজ্যে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রাত্রিকালীন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছে ভারতীয় প্রশাসন। গত ৮ মে থেকে কার্যকর হওয়া এই নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী প্রতি দিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ওইসব এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়। আর এসময়টাকেই তারা পুশইনের জন্য বেছে নেয়।
বিধান সভার বিরোধীদলীয় একজন রাজনীতিবিদ জানান, আসামের মুখ্যমন্ত্রী সম্প্রতি বিধান সভায় যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে বাংলাদেশে পুশইন অব্যাহত রাখার এক মহাপরিকল্পনা ফাঁস হয়েছে। সম্প্রতি আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যের আইনসভায় ঘোষণা দিয়েছেন, ‘যাকেই বিদেশী হিসেবে শনাক্ত করা হবে। তাকেই সরাসরি বাংলাদেশে পুশইন করা হবে।
এই প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের আইন অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না’। হিমন্ত শর্মার এমন ঘোষণার পর বাংলাদেশে পুশইন বা বন্দী শিবিরে আটকের ঘটনা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন আসামের বিরোধী দলের একজন নেতা। ভারতীয় বাংলা গণমাধ্যমসহ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়ও বিষয়টি উঠে এসেছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।