“আমরা টাকাটা পাচ্ছি, কিন্তু যে গুরুত্বটা দিতে হবে, সেটা দিচ্ছি না,” বলেন রামরুর তাসনিম সিদ্দিকী।
মাস কয়েক ধরে প্রবাসী আয়ে সুবাতাস বইছে, রেকর্ডও হয়েছে; তবে বিদেশে কর্মী পাঠানোর হিসাবটা আশা জাগানিয়া নয়।
এক বছরের ব্যবধানে শ্রমিক পাঠানোর সংখ্যা ২২ শতাংশের মত কমে যাওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে বেশ কয়েকটি দেশের শ্রমবাজার বাংলাদেশের জন্য সংকুচিত হওয়ার তথ্য মিলেছে।
জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিরা বলছেন, প্রবাসীদের শ্রমের বিনিময়ে ডলার বাংলাদেশ পাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়ানোর দিকে মনোযোগ নেই। বাজার ছোট হয়ে আসার কারণ হিসেবে দেশের অভিবাসন প্রক্রিয়ার ‘অনৈতিক চর্চার’ কথাও বলছেন কেউ কেউ।
চলতি বছরের মার্চে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে পাঠান ৩২৯ কোটি ডলার, যা মাসের হিসাবে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আসে এর তিন মাস আগে; গেল ডিসেম্বরে। সে মাসে আসে ২৬৪ কোটি ডলার। তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিটেন্স আসে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে; ২৫৩ কোটি ডলার।
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে রেমিটেন্স বাবদে দেশে এসেছে দুই হাজার ১৭৮ কোটি ডলার।
আর ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত এসেছিল এক হাজার ৭০৭ কোটি ডলার। অর্থাৎ এ সময়ে রেমিটেন্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।
রেমিটেন্সের প্রবাহ আশা জাগালেও অভিবাসী শ্রমিক পাঠানোতে উল্টো চিত্র দেখা গেছে।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জন কর্মী বিদেশে পাড়ি জমান।
২০২৪ সালে সেটি কমে নেমেছে ১০ লাখ ১১ হাজার ৯৬৯ জনে। কমেছে দুই লাখ ৯৩ হাজার ৪৮৪ জন। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে প্রায় ২২ শতাংশ।
২০২২ সালে কোভিড মহামারীর সময়ও বিদেশে পাড়ি জমানে কর্মীর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বেশি ছিল। সে বছর বিদেশে যান ১১ লাখ ৩৫ হাজার ৮৭৩ জন।
২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত একটা হিসাব দিয়েছে বিএমইটি। তাতে দুই মাসে বিদেশে যাওয়া কর্মীর সংখ্যা এক লাখ ৬০ হাজার ৩০৩ জন। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশই গেছেন সৌদি আরব।
গত কয়েক বছরের হিসাব অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের শ্রম বাজার পুরোপুরি বন্ধ; কিছু দেশে ‘প্রায় বন্ধ’।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যান ৯৮ হাজার ৪২২ জন। ২০২৪ সালে সেটি কমে ঠেকেছে ৪৭ হাজার ১৬৬ জনে।
মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ কুয়েতে ২০২৩ সালে কর্মী গেছেন ৩৬ হাজার ৫৪৮ জন। ২৪ সালে যান ৩৩ হাজার ৩১ জন।
চুক্তিমাফিক চাকরি এবং বেতন নিশ্চয়তার জন্য বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য অন্যতম সেরা শ্রমবাজার দক্ষিণ কোরিয়া।
ভাষা ও কাজের দক্ষতা দেখে কর্মী নেওয়া এ দেশেও কর্মী যাওয়ার সংখ্যা কমেছে।
২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে ১০ হাজার কর্মী নিয়োগের কোটা দেয় দক্ষিণ কোরিয়া; কিন্তু যায় চার হাজার ৯৯৬ জন।
পরের বছর এ সংখ্যা আরও প্রায় দুই হাজার কমে দাঁড়ায় তিন হাজার ৩৮ জনে।
ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্যে ২০২৩ সালে ১০ হাজার ৩৮৩ জন গেলেও ২০২৪ সালে যান তিন হাজার ৫৫০ জন।
ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিতে ১৬ হাজার ৮৭৯ জন পাড়ি জমান ২০২৩ সালে। পরের বছর কমে দাঁড়ায় এক হাজার ১৬৪ জন।
পুরনো শ্রমবাজারগুলোও সংকুচিত হয়েছে
গেল বছরের মতো এ বছরও নতুন কোনো শ্রমবাজার খোলেনি বাংলাদেশিদের জন্য। উল্টো ২০২৩ এর মাঝামাঝি থেকে শুরু করে চলতি বছর পর্যন্ত ওমান, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপের মতো বেশ কিছু পুরনো শ্রমবাজারও বন্ধ হয়েছে।
২০২৪ সালের অগাস্ট থেকে অঘোষিতভাবে বন্ধ আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার। এছাড়া জনশক্তি রপ্তানি অর্ধেকে নেমেছে ব্রুনাইয়ে; মরিশাসে বন্ধ রয়েছে ঘোষণা ছাড়াই, যুদ্ধবিদ্ধস্ত লেবাননেও নেই সুখবর।
২০১৭ সাল থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের একসময়ের বড় শ্রমবাজার বাহরাইনও বন্ধ রয়েছে। ২০২৪ সালে দেশটি কোনো কর্মীই নেয়নি।
প্রায় একই অবস্থা লিবিয়া, সুদান, ইরাক, মিশরের মতো দেশগুলোতেও। এসব দেশের শ্রমবাজারও কার্যত বন্ধই বলা চলে।
নতুন করে কর্মী নেওয়া বন্ধ রেখেছে মালয়েশিয়াও। উল্টো বাংলাদেশি এজেন্সিগুলোর সিন্ডিকেট নিয়ে দফায়-দফায় সতর্ক করেছে দেশটির অভিবাসন বিভাগ।
অথচ ২০২৩ সালে রেকর্ড ৩ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩ জন শ্রমিক নেয় দেশটি।
পরের বছরের ৩১ মে ভিসা বন্ধ করে দেয় মালয়েশিয়া। বন্ধের আগে পাড়ি জমান ৯৩ হাজার ৬৩২ জন।
ওমানও কর্মী নেওয়া বন্ধ রেখেছে, যারা ২০২৩ সালে নেয় ১ লাখ ২৭ হাজার ৮৮৩ জন কর্মী।
২০২৪ সালে সেটি কমে দাঁড়ায় ৩৫৮ জনে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গেছেন ২৪ জন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ বন্ধ করে ওমান। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরকারি পর্যায়ে দেনদরবার করার পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি উচ্চ আয়ের পর্যটক, পেশাজীবীসহ কয়েকটি খাতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা শিথিল করলেও কর্মী নিতে রাজি হয়নি। ফলে কার্যত দেশটির শ্রমবাজার বন্ধই রয়েছে।
কিছু দেশে কর্মী বাড়লেও কাজ মিলছে না
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার সৌদি আরবে যাওয়া কর্মীর সংখ্যা বাড়লেও কাজ না মেলায় বিপাকে রয়েছেন দেশটিতে যাওয়া শ্রমিকদের অনেকেই। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে যান ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৪ জন। ২০২৪ সালে সেটি বেড়ে হয়েছে ৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৬৪ জনে।
আইনে নিষিদ্ধ হলেও কর্মীপ্রতি দুই থেকে আড়াই লাখ টাকায় ভিসা কিনে নেয় দেশটিতে থাকা অনেকে। এরপর ৪ থেকে ৫ লাখ টাকায় দেশ থেকে ফ্রি ভিসার নামে লোক নিয়ে গেলেও সেখানে কাজ নিয়ে ফিরে আসেন অনেকেই। অনেকেই আবার সীমাহীন কষ্টে দিনাতিপাত করেন।
চাঁদপুরের শাহরাস্তির উপজেলার ফাহাদ হোসেন থাকেন সৌদি আরবের রিয়াদে। কাজ করেন সেখানকার একটি ওয়ার্কশপে। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখানে কাজের সংকট রয়েছে। অনেক বাংলাদেশি দালালের মাধ্যমে আসার পর কাজ খুঁজে না পেয়ে বেকায়দায় আছেন। সম্প্রতি বেশ কিছু লোককে দেশটির পুলিশ আটক করে দেশে পাঠিয়েছে। কোম্পানির অধীনে বা পরিচিত লোক না থাকলে কাজ খুঁজে পাওয়া কঠিন। দক্ষতা না থাকাও একটা বড় কারণ।”
একই চিত্র মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারেও। ২০২৩ সালে ৫৬ হাজার ১৪৮ জন দেশটিতে গেলেও ২০২৪ সালে সেটি বেড়ে হয় ৭৪ হাজার ৪২২ জন।
সম্প্রতি সে দেশে গিয়ে ফিরে আসেন কুমিল্লার লাকসামের ইলিয়াস কাঞ্চন নামের একজন। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এক আত্মীয়র মাধ্যমে গিয়েছিলাম প্রায় ৪ লাখ টাকা খরচ করে। তবে অনেক চেষ্টা করেও কাজ না মেলায় তিন মাসের মাথায় আসি।”
নতুন শ্রমবাজার খুলছে না
বিভিন্ন দেশে নতুন শ্রমবাজার খোঁজার কথা প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় বহু বছর ধরে বললেও পরিসংখ্যান অনুযায়ী এসব দেশে যাওয়া কর্মীর সংখ্যা সামান্য। ২০২৩ সালে ৯ হাজার ৯৫৬ কর্মী রোমানিয়া যাওয়ার জন্য বিএমইটির ছাড়পত্র নেন। ২০২৪ সালে সেটি কমে হয়েছে ৩ হাজার ৫২৮ জনে।
মাঝে বাংলাদেশ থেকে রোমানিয়া কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়ায় দেশটির ভিসা নিতে হত দিল্লি থেকে। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকেই ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাচ্ছে। ভিসা মিলছে অল্পই।
একই অবস্থা ইউরোপের দেশ পোল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়ার। ২০২৩ সালে পোল্যান্ড যেতে বিএমইটির ছাড়পত্র নেন ২ হাজার ৬৬ জন কর্মী; ২০২৪ সালে সেটি ২০২ জন।
সমস্যা কোথায়
রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক তাসনিম সিদ্দিকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০২৩ সালে অনেক বেশি লোক যাওয়ার একটা বিশেষ কারণ ছিল তখন কোভিড শেষ হয়েছে, আবার দেশগুলো নতুন করে লোক নিতে শুরু করেছিল। যেহেতু আগে কিছুদিন বন্ধ ছিল, তখন একটা জোর ধাক্কা আসে। তারপরেও ২০২৪ সালে যে পরিমাণ লোক গিয়েছে, ১০ লাখের বেশি, এটাকে আমি কম হিসেবে দেখছি না।
“কিন্তু, সমস্যাটা অন্য। সেটা হচ্ছে, ক্রমাগত আমাদের বাজার সংকুচিত হয়ে আসছে। আগে আমরা ১৩ থেকে ১৪টা দেশে লোক পাঠাতাম। যদিও বলছে, ১৭০টি দেশে যায়, আসলে ওটা ১৩ থেকে ১৪টি দেশ। ওটা কমতে-কমতে ৯টা হয়েছে।”
২০২৪ সালে মাত্র ছয়টি দেশে ৯০ শতাংশ লোক গেছে দাবি করে তিনি বলেন, “বাহরাইন, আরব আমিরাত এসব বাজার বন্ধ হয়ে আছে। অফিসিয়ালি খোলা আছে, কিন্তু আসলে খোলা নাই। বাজারের সংকোচনটাকে আমি বড় সমস্যা হিসেবে দেখছি। মধ্যস্বত্বভোগী শ্রেণিকেও দায়বদ্ধ করতে হবে। এ বাজার জালিয়াতিতে ভরা। এ কারণে ওইসব দেশ কিছু দিন পর পর বাজার বন্ধ করে দেয়।”
বেসরকারি সংস্থা অভিবাসী উন্নয়ন কর্মসূচির (ওকাপ) সভাপতি শাকিরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমাদের প্রথম সমস্যা হচ্ছে শ্রমবাজার ছোট হয়ে যাচ্ছে। এটা কেন হচ্ছে, সেটার প্রধান কারণটা হচ্ছে, আমাদের যে অভিবাসনের প্রক্রিয়া, এটায় অনৈতিক চর্চাটা বেশি।
“ইতালিতে নাম পরিচয়হীন কোম্পানিতে ভুয়া আবেদন পাঠানোয় প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার লোক যেতে পারছে না। মালয়েশিয়ার সঙ্গেও একই রকম ঘটনা ঘটেছে। ওমানের ক্ষেত্রেও একই। সেখানে ফ্রি ভিসার নামে অতিরিক্ত লোক পাঠানো হয়েছে। পরে যখনই একটা সমস্যা ঘটেছে; তারা সেখান থেকে লোক পাঠিয়ে দিয়েছে। ইউরোপের নতুন দেশগুলোতেও একই রকম সমস্যা তৈরি হয়েছে।”
এজেন্সির সিন্ডিকেট রোধ এবং দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “এখানে যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সেটা যে খুব বেশি কাজে লাগে না। জব ম্যাচিং যেটা, সেটা হচ্ছে না। এসব কারণেই মূলত শ্রমিকের সংখ্যা কমছে।”
জনশক্তি রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন- বায়রার নেতা ফখরুল ইসলামের প্রত্যাশা, “এই সরকার যেন এই সিন্ডিকেট সিস্টেমটার একটা সংস্কার করে।
“যেন কর্মীরা কম খরচে বিদেশে যেতে পারেন এবং বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোও যোগ্যতা বা সক্ষমতার ভিত্তিতে লোক পাঠাতে পারে।”
সরকারের ভাষ্য কী
নিজেদের নীতিগত কিছু দুর্বলতা আছে মন্তব্য করে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অতিরিক্ত মহাপরিচালক (কর্মসংস্থান) মোহাম্মদ আবদুল হাই বলেন, “বাহরাইন, ওমান, দুবাই, মালয়েশিয়া, রোমানিয়া, মরিশাসসহ কয়েকটি দেশে শ্রমবাজার বন্ধ। এর পেছনে আমাদেরও নীতিগত কিছু দুর্বলতা আছে। ওই দেশেরও দুর্বলতা আছে।
“তবে রাশিয়ার বাজার খুলেছে নতুন করে। ইতালির সঙ্গেও এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) স্বাক্ষরিত হয়েছে।”
নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়েও কিছু জটিলতা আছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ইউরোপের নিয়মানুযায়ী কোনো শ্রমিক সরাসরি সেখানে নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারে না।
“এখানে যদি রাষ্ট্রীয়ভাবে সরাসরি শ্রমিক আবেদনের পদ্ধতি থাকত, একটি অভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থাকত, তাহলে ভালো হত।”
নীতিগত কিছু বিষয়ে জোর দিয়ে তিনি বলেন, “পলিসিগত বিষয়গুলো গবেষণার আলোকে টিমওয়ার্ক করে যদি আলোচনা করা যেত, তাহলে ভালো হত। বর্তমান উপদেষ্টা, সচিব সম্প্রতি সব দেশের দূতাবাসে ডিও লেটার দিয়েছেন, যেসব দেশে এমওইউ নেই, সেগুলো করার জন্য।
“যেমন চীন, রাশিয়া লাওস, ভিয়েতনাম, ইরান, তুরস্ক, নর্থ সাইপ্রাস কর্মী নেয়। কিন্তু আমাদের সঙ্গে এমওইউ নেই। এগুলো সমাধান করতে পারলে আমাদের শ্রমবাজার বড় হবে। আমরা যদি দক্ষ শ্রমিক পাঠাতে পারি, তাহলেও বাজারটা বাড়বে।”
এ বিষয়ে কথা বলতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে একাধিকবার ফোন করা হয়; কিন্তু সাড়া মেলেনি।