বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী, বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী, বিএসএফ এর মহাপরিচালক পর্যায়ের ৫৬তম সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে। চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা, পুশইন, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানসহ বিভিন্ন আন্তঃসীমান্ত অপরাধমূলক বিষয়ে আলোচনা হবে।
বিজিবি সদর দপ্তরে এ সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। বিএসএফের ৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বিএসএফ মহাপরিচালক দলজিৎ সিং চৌধুরী।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত ৭ মে থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ভারত বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ২ হাজার ১৯৭ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে। এর মধ্যে সিলেট ও মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে পুশইন করা হয়েছে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এমনকি মিয়ানমার ও নিজ দেশের নাগরিকদেরও বাংলাদেশে পুশইন করছে, যা দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন।
সম্মেলনে সীমান্ত হত্যার মতো সংবেদনশীল বিষয়টিও অগ্রাধিকার পাবে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিএসএফের গুলিতে কমপক্ষে ১৭ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, যা গত বছরের তুলনায় বেশি।
পাশাপাশি মাদক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান এবং সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণসহ অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমন নিয়েও আলোচনা হবে সম্মেলনে। বিএসএফের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ভারতীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি উত্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।এছাড়া সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অননুমোদিত নির্মাণ, অভিন্ন নদীর পানির সুষ্ঠু বণ্টন এবং ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণার কারণে সৃষ্ট উত্তেজনা হ্রাসের বিষয়গুলো সম্মেলনে গুরুত্ব পাচ্ছে।
জেড নিউজ, ঢাকা।