ফাহমিদা খাতুন বলেন, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে ‘বড় ধরনের’ সংস্কার কার্যক্রম লাগবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ তার ৭ কোটি ৯০ লাখ টাকার বাজেটের তিন চতুর্থাংশ রাজস্ব হিসেবে আহরণের যে পরিকল্পনা করেছেন, সেই লক্ষ্য পূরণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে গবেষণা সংস্থা সেন্টার পর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, “সব সময় রাজস্ব আদায় একই ধারায় রয়েছে। এবারও উচ্চ আকাঙ্ক্ষার রাজস্ব আহরণ বাজেটের বড় চিন্তার বিষয়। গত ১০ বছর ধরেই আমরা দেখছি, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয় না।”
বাজেটের পরদিন মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানায় সিপিডি।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হলে ‘বড় ধরনের’ সংস্কার কার্যক্রম লাগবে।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য সোমবার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সেখানে রাজস্ব খাতে আয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত রাজস্ব আয়ের ৮.৯ শতাংশ বেশি।
বাজেট ঘাটতি ধরা হয় ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ।
গত তিন বছর থেকে মূল্যস্ফীতি ও উচ্চ হারে খেলাপি ঋণের কারণে অর্থনীতি একটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে ফাহমিদা খাতুন বলেন, “সামষ্টিক অর্থনীতির কয়েকটি সূচক ইতিবাচক দিকে যাচ্ছে। এর মধ্যে রেমিটেন্স ও রিজার্ভ বৃদ্দি পাওয়ায় বৈদেশিক দায় পরিশোধ সক্ষমতা বেড়েছে।’’
এমন প্রেক্ষাপটে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা আনা এবং মূল্যস্ফীতি কমানোই আগামী বাজেটের মূল্য লক্ষ্য হওয়া উচিত ছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বাজেটে সেই পদক্ষেপ ও কৌশল বিস্তারিত থাকা দরকার।”
অর্থ উপদেষ্টা আশা করছেন, তার নতুন বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারলে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশের মধ্যে আটকে রেখেই ৫.৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি পাওয়া সম্ভব হবে।