বাংলাদেশি বলে তকমা দিয়ে ভারতের আসাম, মেঘালয়সহ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে হাজারো দরিদ্র হিন্দু ও মুসলমান বাংলাভাষী মানুষদের সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন করা হচ্ছে ।
নরেন্দ্র মোদির ‘বাংলাদেশকে শায়েস্তা করার’ রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং
বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে এই পুশ ব্যাককে ব্যবহার করছে অবাঙালি ভোটারদের মন জয় করে বিজেপির ভোট বাড়াতে এ কৌশল ।
বাংলাদেশে ‘পুশ ইনের’এ রাজনীতি ভারতের নিজ দেশের দরিদ্র নাগরিকদের জীবনকেই বিপদে ফেলছে। এসব তথ্য উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি ও আল–জাজিরার প্রতিবেদনে ।
আসামের ৫৮ বছরের সোনা বানু জানান, পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে সীমান্তে নিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দেয়। দুই দিন না খেয়ে সীমান্তে থাকার পর বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ তাকে ভারতে ফিরিয়ে দেয়। একইভাবে ৬৭ বছরের সাইকেল মেকানিক আলীকে পুলিশের অভিযানে তুলে নিয়ে সীমান্তে পুশ ব্যাক করে বিএসএফ। তার ওপর গুলি করার হুমকিও দেওয়া হয়। স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে অবশেষে তাকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়।
এদিকে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, আগামী আদমশুমারিতে যারা মাতৃভাষা হিসেবে বাংলা লিখবে, তাদের ‘বিদেশি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশিরা জীবিকার জন্য ভারতে যায়—এ ধারণা ভিত্তিহীন। আইএমএফের তথ্যানুসারে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ভারতের কাছাকাছি। ফলে অবৈধভাবে ভারতে কাজ করতে যাওয়ার কোনো বাস্তবতা নেই।
রাজনৈতিক স্বার্থে গরিব মানুষদের ব্যবহার করে তাদের জীবন ধ্বংস করা অমানবিক। এতে দরিদ্র ভারতীয় নাগরিক যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং নিজেদের দেশের নেতৃবৃন্দের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠছে, তা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমগুলোর রিপোর্টেই তুলে ধরা হয়েছে। ভারত সরকারের উচিত এই ‘পুশ ব্যাক’ বন্ধ করে সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনায় আসা।
জেড নিউজ ,ঢাকা ।