বাংলাদেশ সরকারের আপত্তি ও উদ্বেগ সত্ত্বেও বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অব্যাহতভাবে পুশইন চালিয়ে যাচ্ছে ভারত। পুশইন না করে বৈধ চ্যানেলে বাংলাদেশিদের ফেরত পাঠাতে নয়াদিল্লিকে অনুরোধ করে আসছে ঢাকা। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করছে না দিল্লি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারের এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে প্রায় ১৬০ জন অনিবন্ধিত বাংলাদেশিকে বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ উড়োজাহাজে করে আগরতলায় আনা হয়, যাদের পরবর্তীতে স্থলপথে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানায় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দীর্ঘ ও জটিল প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এড়িয়ে দ্রুত ‘পুশ-ব্যাক’ নীতির আওতায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তবে এর বিরোধিতা করে ৮ মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতের প্রতি একটি কূটনৈতিক চিঠিতে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করে বলেছে, এ ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না এবং ‘প্রচলিত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার’ প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানানো হয়।
এতকিছুর পরও বুধবার ভোররাতে দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ১৪০ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এরমধ্যে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দুটি পৃথক সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে ৮২ জনকে পুশইন করা হয়েছে। উপজেলার মোকামপুঞ্জি ও মিনাটিলা সীমান্ত দিয়ে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি টের পেয়ে ৪৮ বিজিবির আওতাধীন শ্রীপুর বিওপির টহল দল তাৎক্ষণিকভাবে চালিয়ে তাদের আটক করে।
এদিকে, লালমনিরহাটের তিন উপজেলার পাঁচটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অন্তত ৩৮ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছে বিএসএফ। তবে তাদের সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি ও স্থানীয়রা। এছাড়াও পাটগ্রামের তিন সীমান্ত দিয়ে ২০ জনকে পুশইন করেছে ভারত।
জেড নিউজ, ঢাকা।