দাদাবাবুরা আমাদের পেঁয়াজ-রসুন-আদা এসব নাকি দেবে না! ভারতীয়রা বড় গলায় বলে বেড়াতো তাদের পণ্য না আসলে বাংলাদেশিরা নাকি না খেয়ে মরবে। কিন্তু বাস্তবতা যে কতটা কঠিন আর ভিন্ন তা এখন হারে হারে টের পাচ্ছে দাদারা। বাংলাদেশি পর্যটকের অভাবে যখন না খেয়ে মরার দশা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের, ঠিক তখনই ভারতীয় গরু বাংলাদেশে রপ্তানী করতে না পারায় এখন ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা দশা ওদের।
কারন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছর বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ গরু রপ্তানি করে ভারত। কিন্তু এবার প্রেক্ষাপট ভিন্ন বাংলাদেশ এখন স্বয়ং সম্পূর্ণ গরু উৎপাদনে। তাই এবার প্রয়োজন হচ্ছে না ভারতীয় গরুর। তাই ভারতীয় খামারীরা এখন আহাজারী করছেন বাংলাদেশিরা তাদের গরু না কেনায়।
সেখানকার ব্যবসায়ীদের ভাষায়, বড় বড় ৪-৫ মণ ওজনের গরুর দাম হাকা হচ্ছে মাত্র ৪৫-৫০ হাজার টাকা। এরপরও কেউ এই দামেই কিনছে না এসব ভারতীয় গরু। অথচ এসব গরু যদি বাংলাদেশে কোনভাবে রপ্তানি করতে পারতো তাহলে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে দেড় লাখ পর্যন্ত দাম পেতো, এমনটিই বলছেন স্থানীয়রা ।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, আসাম, ঝাড়খন্ডসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সেদেশের মানুষ। ভারতে গরু হত্যা নিষিদ্ধ হওয়ায় এখন যেনো গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে ভারতের এসব গরু। এসব নিয়েই রীতিমতো এখন হতাশ ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীরা। এ যেনো বাংলাদেশকে বয়কট করতে গিয়ে এখন নিজেদেরই মাথায় হাত মোদির ভারতের ।
জেড নিউজ , ঢাকা ।